ডিজিটাল ডেস্ক ১৬জুনঃ আজ শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঘোরাফেরা করতে পারে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে। আর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১.৯ ডিগ্রি কম। তবে স্বাভাবিকের থেকে ০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি ছিল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। তা নথিভুক্ত হয়েছে ২৭.৭ ডিগ্রি। গতকাল সকাল সাড়ে ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় শহরে ০.৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।আবহবিদরা আগেই জানিয়েছিলেন, উত্তরবঙ্গে প্রবেশের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বাতাস যে ভাবে থমকে গিয়েছিল, সেই অবস্থার পরিবর্তন ঘটাতে পারে একমাত্র বঙ্গোপসাগরে তৈরি কোনও ‘ওয়েদার সিস্টেম’। শেষ পর্যন্ত একটির পরিবর্তে একজোড়া ওয়েদার সিস্টেম তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্তের রূপ ধরে। ওই জোড়া সিস্টেমই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামাতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে (Today Weather Update)।
সাধারণত মেঘলা থাকবে আকাশ। আগামী কাল, মঙ্গলবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টি আরও বাড়বে। কিছু জায়গায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। আগামী এক-দুদিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হবিবুর রহমান বিশ্বাস। আবহবিদরা জানিয়েছিলেন, পুরোদস্তুর বর্ষা না নামলে এই অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। শেষ পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত পুরোদস্তুর বর্ষার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হলো। তবে দেশে এবং উত্তরবঙ্গে যেমন নির্ধারিত তারিখের আগেই বর্ষা নেমেছিল, দক্ষিণবঙ্গে তেমন হলো না। দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা নামার তারিখ ছিল ১৫ জুন। এ বছর সেই তারিখ সামান্য হলেও পিছোল।
মঙ্গলবার উপকূলবর্তী দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও জায়গায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এজন্য জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আজ, সোমবার দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুর জেলার কোনও কোনও স্থানে ভারী বৃষ্টিরও সম্ভাবনা আছে। আছে সমুদ্র উত্তাল হওয়ারও আশঙ্কা। এজন্য মঙ্গল ও বুধবার পশ্চিমবঙ্গ-ওড়িশা উপকূলের মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে না-যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। উপকূলে হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৫৫ কিমি পর্যন্ত হতে পারে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত থাকার জন্য আবহাওয়া পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে আগে যে ঘূর্ণাবর্তটি তৈরি হয়েছিল, সেটি এই ঘূর্ণাবর্তের সঙ্গেই যুক্ত হয়েছে।