Turbulent Bhidhansava:”মহেশ ,মুর্শিদাবাদ”খারিজ,উত্তাল বিধানসভা,শুভেন্দুর ‘এনআইএ’ র দাবি হাইকোর্টে

10

ডিজিটাল ডেস্ক ১২ জুনঃ শুভেন্দু অধিকারি সহ বিজেপির অন্যান্য বিধায়করা আজ তুমুল বিক্ষোভ দেখায় বিধানসভায়। তারা বিজেপির পতাকা হাতে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে ওয়েলে নেমে হইহট্টগোল করতে শুরু করে মহেশতলা সহ মুর্শিদাবাদ দাঙ্গার আলোচনার দাবিতে। বিধানসভায় অন্যান্য আলোচনার পরে যখন এই দুই জোড়া বিষয় নিয়ে বিজেপি বিধায়করা আলোচনার জন্য দাবি তোলে সেই সময়ই স্পিকার তা খারিজ করে দেয়। যার ফলস্বরূপ গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয় বিধানসভার মধ্যেই। স্পিকার অবশ্য সাফ জানিয়ে দেন, ‘সাব জুডিস বিষয়ে কোনও আলোচনা নয়।’ তিনি আরও বলেন “এটা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা, যতই চিৎকার করুক সভা বন্ধ হবে না (Turbulent Bhidhansava)।”

পাশাপাশি মহেশতলার ঘটনায় আগেই এনআইএ তদন্তও চেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । সেই আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন শুভেন্দু। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলের পর থেকে অশান্ত হয়ে ওঠে মহেশতলা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে গোলমালের পরিস্থিতি তৈরি হয়। বেশ কয়েকটি দোকান ও বাড়িতে ভাঙচুর করা হয়। খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে উন্মত্ত জনতা। তাতে জখম হয় একাধিক পুলিশ কর্মী। প্রায় গভীর রাত পর্যন্ত ওই এলাকার পরিস্থিতি উত্তপ্ত ছিল। তাই বৃহস্পতিবার সকালেও এলাকায় পুলিশি টহল চলছে।

সোমবার থেকে শুরু হয়েছে বিধানসভার অধিবেশন। এদিন বিধানসভার শুরুতেই মুর্শিদাবাদ, নদিয়ার পাশাপাশি মহেশতলার হিংসার প্রসঙ্গও টেনে আনেন বিরোধী দলনেতা। এ ব্যাপারে সভায় বিজেপির তরফে দুটি প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। বুধবার রাতেই ইস্যুটি নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে গেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ডিজির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই শুভেন্দু ফের একবার বাংলায় তথা মহেশতলায় আধাসেনা মোতায়েনের দাবি তুলেছেন। শুধু তাই নয়,বৃহস্পতিবার বিধানসভা অচল করার হুঙ্কারও দিয়েছিলেন।

সম্প্রতি অধিবেশনের ভিতরে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যকে বাইরে বিকৃত করার অভিযোগে বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগও এনেছেন শাসকদলের বিধায়করা। এদিনের ঘটনার পর নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করা হয় কিনা, তা নিয়েও বিধায়কের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।