ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুন : অবৈধ অভিবাসীদের ধরপাকড় ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লস অ্যাঞ্জেলস। পরিস্থিতি শুক্রবারের পর শনিবারেও উত্তেজনার মধ্যেই ছিল। জানা গেছে, প্যারামাউন্ট এলাকায় ফেডারেল এজেন্টদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে (USA Clashes)। দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের জন্য নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছুড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রশাসন জানিয়েছে, ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হবে।
ট্রুথ সোশাল মিডিয়ায় ট্রাম্পের আক্রমণাত্মক অবস্থান প্রকাশ পেয়েছে। তিনি লিখেছেন, “যদি ক্যালিফোর্নিয়ার গভর্নর গ্যাভিন নিউসকাম ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়র কারেন বাস তাঁদের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারেন—যা অনেকেই মনে করেন তারা পারবেন না—তাহলে ফেডারেল সরকার হস্তক্ষেপ করবে এবং সমস্যার সমাধান করবে, দাঙ্গাকারী ও লুটেরাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
লস অ্যাঞ্জেলসের প্যারামাউন্ট শহর এদিন প্রায় রণক্ষেত্রের রূপ নেয়। প্রতিবাদকারীরা স্লোগান দেন— “কোনও মানুষই অবৈধ নয়।” অভিযোগ অনুযায়ী, প্রায় এক হাজার প্রতিবাদকারী একটি ফেডারেল ভবনে হামলা চালায়। ট্রাম্প প্রশাসনের সীমান্ত নীতি বিষয়ক প্রধান, টম হোমান, ফক্স নিউজকে জানান, ন্যাশনাল গার্ডের ২ হাজার নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর আগে, শুক্রবারও প্রায় এক হাজার প্রতিবাদকারী বিক্ষোভে অংশ নেন, যেখানে নিরাপত্তা বাহিনী ৪৪ জনকে গ্রেফতার করে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। মার্কিনিদের স্বার্থ রক্ষায় ইতিমধ্যেই বেশ কিছু কড়া আইন কার্যকর করা হয়েছে, যার মধ্যে অন্যতম ‘দ্য এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন রিকোয়ারমেন্ট’, যা ১১ এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। এবার নিরাপত্তা বাহিনী সরাসরি অভিবাসীদের সঙ্গে সংঘাতে জড়াতে পারে, যা কঠোরভাবে দমনের পরিকল্পনা করছে হোয়াইট হাউস।