Vece Peas Passes Away: প্রয়াত অলিম্পিক ব্রোঞ্জ জয়ী প্রাক্তন হকি তারকা ভেস পেজ

39

ডিজিটাল ডেস্ক ১৪ অগাস্টঃ প্রয়াত দেশের প্রাক্তন হকি তারকা ভেস পেজ ৷ বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন ১৯৭২ অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য ৷ বৃহস্পতিবার ভোররাতে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রাক্তন হকি তারকার ৷ গত এপ্রিলেই আশি পূর্ণ করেছিলেন দেশের কিংবদন্তি টেনিস প্লেয়ার লিয়েন্ডার পেজের বাবা ৷ ভেস পেজের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ দেশের ক্রীড়ামহল(Vece Peas Passes Away) ৷

দেশের জার্সিতে অলিম্পিক্স পদকজয়ের বাইরে গিয়েও ভেস পেজকে অনুরাগীরা মনে রাখবে ভারতীয় ক্রীড়ায় স্পোর্টস মেডিসিনের অন্যতম প্রবর্তক হিসেবে ৷ গোয়ায় জন্ম হলেও ভেস পেজের জীবনের অনেকটা সময় কেটেছে শহর কলকাতায় ৷ সেখানেই মেডিসিন নিয়ে পড়াশোনা তাঁর ৷ খেলোয়াড় জীবন পরবর্তী সময়ে মেডিসিন বিষয়ক জ্ঞানকে তিনি দেশের খেলাধুলোয় কাজে লাগিয়েছিলেন ৷ স্পোর্টস মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে ক্রীড়া প্রশাসনে তাঁর একটা বড় ভূমিকা ছিল ৷ ডোপিং-বিরোধী উপদেষ্টা হিসেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গেও ছিলেন তিনি ৷ কাজ করেছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল এবং ভারতের ডেভিস কাপ দলের সঙ্গেও ৷

অলিম্পিক্সে ভারতীয় হকি দলের চিকিৎসক হিসেবেও ভেস পেজের অবদান ভোলার নয় ৷ কেবল হকি নয়, প্রাক্তন এই ভারতীয় মিডফিল্ডারের ব্য়াপ্তি ছিল ক্রিকেট, ফুটবল, রাগবির মত অন্য়ান্য খেলাতেও ৷ ১৯৯৬-২০০২ ভারতের রাগবি ফুটবল ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টও ছিলেন তিনি ৷ লিয়েন্ডার তাঁর কেরিয়ারে বাবার অবদানের কথা বারংবার বলে এসেছেন ৷ বিশেষ করে অলিম্পিক্সে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার ক্ষেত্রে ৷

উল্লেখ্য, লিয়েন্ডারও পরবর্তীতে ব্রোঞ্জ জিতেছিলেন ১৯৯৬ আটলান্টা অলিম্পিক্সে ৷ ভিন্ন খেলায় বাবা-ছেলের এমন অলিম্পিক্স পদকজয়ের নজির ভারতীয় ক্রীড়ায় আর নেই ৷ দীর্ঘদিন ধরে পারকিনসন্সে ভুগে চলা সিনিয়র পেজের শারীরিক অবস্থার সম্প্রতি অবনতি হয় ৷ মঙ্গলবার রাতে তাঁকে শহরের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৷ সেখানেই বৃহস্পতিবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৷ যে হাসপাতাল ভেস পেজ প্রয়াত হয়েছেন সেখানেই গত কয়েক মাস নিয়মিত চিকিৎসার মধ্যে ছিলেন বলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে ৷ তাঁর বিভিন্ন অর্গ্য়ান ঠিকমত কাজ করছিল না বলেও উল্লেখ রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে ৷

ভেস পেজের মৃত্যুতে শোকবার্তা জ্ঞাপন করা হয়েছে ভারতীয় হকির তরফে ৷ তাঁরা লিখেছে, “মাঠ এবং মাঠের বাইরে তাঁর কৃতিত্ব প্রজন্মের পর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে ৷ ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিক্সে ব্রোঞ্জজয়ী দলের সদস্য হিসেবে ভারতকে গর্বিত করেছেন তিনি ৷ তাঁর কীর্তি আমর হয়ে থাকবে ৷”