Vice Precident News: নতুন উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও কি NDA আরএসএস-র উপরই ভরসা রাখতে চাইছে ?

83

ডিজিটাল ডেস্ক ১৮ই অগাস্টঃ উপরাষ্ট্রপতির চেয়ার ঘিরে জল্পনা কম হয়নি রাজনীতির অন্দরে। পাশপাশি রাজনীতির পাতায় একটু চোখ বোলালেই বোঝা যায়,যে কয়েকটি রাজ্যে রাজ্যপাল নিয়োগ সদ্য সমাপ্ত হয়েছে উল্লেখযোগ্য ভাবে তাদের সকলেরই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর হয়ে। প্রসঙ্গত জগদীপ ধনখড়ের উত্তরসূরি হিসাবে উপরাষ্ট্রপতি পদের জন্য যে প্রার্থী বাছাই করে ফেলেছে শাসক জোট এনডিএ সেও কোন না কোন ভাবে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর মানসপুত্র হিসেবে পরিচিত , রাজনৈতিক মহলের খবর। সেই একইরকমভাবে এবারেও বিজেপির পছন্দের প্রার্থী হিসেবে উপরাষ্ট্রপতি নাম গেছে বর্ষীয়ান নেতা সিপি রাধাকৃষ্ণণানের(Vice Precident News)। যেখানে উপরাষ্ট্রপতির সদ্য ইনিংস শেষ করে উঠেছে জগদীপ ধনখড়ের মতো মানুষ । যিনি NDA-র সবথেকে কাছের প্রার্থী হিসেবে পরিচিত ছিল বলে জানা যায়, রাজনৈতিক মহলের খবর। তবে কি কোন ভাবে আরএসএস-র উপরই ভরসা রাখতে চাইছে NDA-র সরকার ?

যদিও সিপি রাধাকৃষ্ণণান ২০২৪ সালের ৩১ জুলাই মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদে শপথ নেন তিনি। এর আগে ২০২৩-এর ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪-এর জুলাই পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডের রাজ্যপালের দায়িত্ব সামলেছেন। সে সময় তেলঙ্গানার রাজ্যপাল এবং পুদুচেরির লেফটেন্যান্ট গভর্নর হিসাবে অতিরিক্ত দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে। তামিলনাড়ুর রাজ্য রাজনীতিতে চার দশকেরও বেশি কাটিয়েছেন রাধাকৃষ্ণণ। সংসদীয় রাজনীতিতে হাতেখড়ির আগে থেকেই কাজ করেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (আরএসএস)-এর হয়ে। ১৯৭৪ সালে তিনি ভারতীয় জনসঙ্ঘের তামিলনাড়ু রাজ্য কার্যনির্বাহী সমিতির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে নিযুক্ত হন তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পদে। ১৯৯৮ সালে কোয়েম্বত্তূর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ১,৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে ডিএমকে-র এম রামানাথনকে হারিয়ে জয়ী হন। এআইডিএমকে-র সঙ্গে জোটের পর সে বার তামিলনাড়ুতে যে তিন জন বিজেপি প্রার্থী জয়ী হয়েছিলেন, তাঁদের এক জন ছিলেন রাধাকৃষ্ণণ। এর পর ১৯৯৯ সালেও কোয়েম্বত্তূর থেকে লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। সে বার জেতেন ৫৫,০০০ ভোটের ব্যবধানে। ২০০৩ সালে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভা (ইউএনজিএ)-র বৈঠকে ভারতের সংসদীয় প্রতিনিধি দলেরও অংশ ছিলেন রাধাকৃষ্ণণ। ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছিলেন তামিলনাড়ু বিজেপির রাজ্য সভাপতি। ২০০৪ সালে ডিএমকে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার পর এআইডিএমকে-র সঙ্গে জোট গঠনেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। অবশ্য ওই বছরই নির্বাচনে ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টির কে সুব্বরায়নের কাছে পরাজয়ের পর সংসদে মেয়াদ শেষ হয় রাধাকৃষ্ণণের।

একইরকমভাবে শমীক ভট্টাচার্যের দীর্ঘ ৪২ বছরের রাজনৈতিক জীবন। এবারের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপির সভাপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রেও রাজনৈতিক মহলে একই প্রশ্ন উঠতে দেখা যায় যে আরএসএস-র পছন্দের প্রার্থী শমীকেই ভরসা রাখছে বিজেপি? যেহেতু জনসংঘের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তিনি। পরবর্তীতে বিজেপিতে আসেন। একইসঙ্গে আরএসএস-ও করতেন। হাওড়া জেলা থেকে জনসংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেখান থেকেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘে যুক্ত হওয়া। ১৯৭১ সাল থেকেই আরএসএসে। যদিও তার সত্যতা প্রমান করে শমীক ভট্টাচার্যই রাজ্য বিজেপির সভাপতি হন।