ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ জুন : ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ না মেটানোর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে, একাধিক ব্যাঙ্কের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগও উঠেছে। ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁকে ধরতে মরিয়া। অথচ ব্রিটেনে তিনি নির্বিঘ্নে রয়েছেন। শুধু তা-ই নয়, দেশীয় উদ্যোগপতি রাজ শামানির পডকাস্টে অংশ নিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনও করেছেন বিজয় মালিয়া। ওই সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, “দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছি ঠিকই, কিন্তু কোনও চুরি করিনি। আমাকে অন্য কিছু বলা যেতে পারে, কিন্তু চোর বলা যাবে না (Vijay Mallya Deny Thief Charge)।”
ওই পডকাস্টে বিজয় মালিয়া দাবি করেন যে ২০১৬ সালে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি, বরং পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিদেশে গিয়েছিলেন। তবে তারপর আর ফিরে আসতে পারেননি, যার যথাযথ কারণ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। পলাতক শিল্পপতি আরও বলেন, “আমি দেশ ছেড়ে পালাইনি, পরিকল্পিত সফরে বিদেশে গিয়েছিলাম। তারপর ফিরতে না পারার কারণগুলোর যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। আপনি যদি আমাকে পলাতক বলতে চান, বলতে পারেন। কিন্তু চুরি শব্দটা আমাকে বলবেন না।”
স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া-সহ (SBI) একাধিক ভারতীয় ব্যাংক থেকে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার পর ব্রিটেনে আশ্রয় নিয়েছেন কিংফিশার এয়ারলাইন্সের কর্ণধার বিজয় মালিয়া। ভারত সরকার তাঁকে দেশে প্রত্যর্পণের আইনি প্রক্রিয়া শুরু করলেও, বিভিন্ন আইনি মারপ্যাঁচের কারণে সেটি বাস্তবায়িত হয়নি। ২০১৬ সাল থেকে তিনি ব্রিটেনে বসবাস করছেন। তবে মালিয়ার দাবি, তিনি কোনও চুরি করেননি। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংকটের ফলে কিংফিশার বিমান সংস্থার পরিস্থিতি দুর্বল হয়ে পড়ে, যার কারণে তিনি ঋণ শোধ করতে পারেননি। তবে সেটাকে চুরি বলা যাবে না বলে তিনি দাবি করেন।
পডকাস্টে রাজ শামানি বিজয় মালিয়াকে প্রশ্ন করেন, তিনি কি ভারতে ফিরতে চান? জবাবে মালিয়া জানান, যদি তাঁকে স্বচ্ছ বিচারপ্রক্রিয়ার আওতায় আনা হয় এবং যথাযথ জীবনযাপনের অধিকার দেওয়া হয়, তাহলে তিনি দেশে ফেরার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারেন। তিনি ভারতের জেলগুলির বর্তমান অবস্থা নিয়ে ব্রিটেনের একটি হাই কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন, যেখানে ভারতের কারাগারগুলির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। মালিয়ার এই মন্তব্যের পরও ভারত সরকার এ বিষয়ে কোনও সরকারিভাবে প্রতিক্রিয়া জানায়নি।