ডিজিটাল ডেস্ক, ১৫ জুন : আহমদাবাদের হাসপাতালে তিন দিন পর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণীর দেহ শনাক্ত করা হয়েছে (Vijay Rupani DNA Matched)। তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মৃত দেহের নমুনা মিলিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হন। পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে, এবং তারা হাসপাতাল থেকে রূপাণীর দেহ নিয়ে গিয়েছেন।
গত ১২ জুন আহমদাবাদ বিমানবন্দর থেকে লন্ডন গ্যাটউইকের উদ্দেশে রওনা দেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তাঁর লক্ষ্য ছিল লন্ডনে কন্যার সঙ্গে দেখা করা। তবে বিমানটি রানওয়ে ছাড়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হয়। সামনের একটি বিল্ডিংয়ে ধাক্কা খেয়ে ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ ঘটে, মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটিতে মোট ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন, যার মধ্যে রূপাণীও ছিলেন। ভাগ্যের জোরে মাত্র এক জন যাত্রী বেঁচে গেছেন, তবে ২৪১ জনেরই মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আহমদাবাদে এই মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭০। তদন্ত চলছে।
২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বিজয় রূপাণী। ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার পর বিস্ফোরণের কারণে যাত্রীদের বেশির ভাগ দেহ ঝলসে গিয়েছিল, ফলে পরিচয় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে ওঠে। গুজরাত প্রশাসন প্রথম দিনেই ঘোষণা করেছিল যে দেহ শনাক্ত করতে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষা করা হবে, কারণ অন্য কোনোভাবে পরিচয় নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। বিমানটির যাত্রীদের আত্মীয়দের ডিএনএ নমুনা জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। দুর্ঘটনাস্থল ছিল ডাক্তারদের একটি হস্টেল ভবন, যেখানে এবং আশপাশে আরও অনেকের মৃত্যু হয়েছে। রূপাণীর পরিবার প্রথম দিন থেকেই হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছিল, এবং তিন দিন পর তাঁদের দেওয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে রূপাণীর নমুনার মিল পাওয়া যায়। এখনও পর্যন্ত ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে আহমদাবাদে ৩২টি দেহ শনাক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে ১৪টি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই তথ্য জানিয়েছে।
অ্যাডিশনাল সিভিল সুপারিনটেন্ডেন্ট রজনিশ পটেল জানিয়েছেন যে শনাক্ত করা দেহগুলির সবাই গুজরাত বা রাজস্থানের বাসিন্দা। দুর্ঘটনার ভয়াবহতার কারণে অনেক দেহই এতটাই ঝলসে গিয়েছে যে সেগুলো দলা পাকিয়ে গেছে। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং তাদের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই ২৩০টি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ ও সহায়তার প্রক্রিয়া দ্রুত এগিয়ে চলছে।