WB VC Appointment: রাজ্যের পছন্দের প্রার্থীকেই নিয়োগে শিলমোহর ! রাজ্যপালকে সুপ্রিম পরামর্শ

78

ডিজিটাল ডেস্ক ১লা অগাস্টঃ দীর্ঘ দিন ধরেই উপাচার্য নিয়ে রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে সংঘাত চলছে। জল গড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। শীর্ষ আদাদলতে শুক্রবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের উপাচার্য নিয়োগ মামলার শুনানি হয়। শুনানির পর সর্বোচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে রাজ্যের পছন্দ করা দুই ব্যক্তিকেই নিয়োগ করার জন্য রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে পরামর্শ দিল সুপ্রিম কোর্ট। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হচ্ছেন সোনালী চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং কোচবিহার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে যোগ দিচ্ছেন সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়। শুধু দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগের বিষয়ে শুক্রবার নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। চার সপ্তাহ পর মামলার পরবর্তী শুনানি(WB VC Appointment)।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের মোট ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে বিরোধ বাধে রাজ্যের। ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশ্য অবশ্য ইতিমধ্যেই উপাচার্য নিয়োগ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। জট রয়ে গিয়েছিল ১৭টিতে। এর মধ্যে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যের দেওয়া নামের তালিকায় দু’নম্বরে থাকা ব্যক্তির নামে অনুমোদন দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। আটটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল বেছে নেন তালিকায় তিন নম্বরে থাকা নামকে। সাধারণত রাজ্যের পাঠানো তালিকায় থাকা প্রথম নামটিতেই সিলমোহর দিয়ে থাকে রাজভবন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। শুক্রবার আরও দু’টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে জট কাটল।

বহুদিন ধরেই রাজ্য রাজ্যপাল সংঘাত থাকায় উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে কড়া সিধান্ত নিয়েছিল সুপ্রিমকোর্ট আগেই । সেই কারণেই ২০২৪-এর জুলাই মাসে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বে ‘সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটি’ গঠন করে আদালত। নির্দেশ ছিল, ওই কমিটি উপাচার্যদের নামের তালিকা তৈরি করে তা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠাবে। পরবর্তীতে রাজ্যপাল সুপ্রিম কোর্টে জানান, তালিকা ধরে নিয়োগের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে । ৩৬ জন উপাচার্য নিয়োগের সেই তালিকায় ১৫টি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ‍্যপাল। এরপরই ওই সার্চ কমিটির কাছে রিপোর্ট তলব করে সুপ্রিম কোর্ট। গত সপ্তাহে সেই রিপোর্ট পেশ করে প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ললিতের নেতৃত্বাধীন ‘সার্চ-কাম-সিলেকশন কমিটি’।

সোনালী এর আগে বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য হিসাবে তাঁকে চেয়েছিল। রাজভবনের তরফে সোনালীকে রবীন্দ্রভারতীর উপাচার্য পদে নিয়োগ নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, তিনি ইতিমধ্যেই অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিয়েছেন। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, তিনি ওই কর্মস্থলে যোগ দেননি। তার পর অবশ্য রাজভবনের তরফে আর আপত্তি জানানো হয়নি। সুপ্রিম কোর্ট তার পর ওই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্যদের নিযুক্ত করার জন্য রাজ্যপালকে পরামর্শ দেয়।