Weather Update:দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ুতে বাধার জেরে দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা অধরা

17

ডিজিটাল ডেস্ক ৬ জুনঃ নির্ধারিত সময়ে দক্ষিণবঙ্গে ঢুকছে না বর্ষা, পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টি হলেও দক্ষিণবঙ্গে ভ্যাপসা গরম আদ্রতা জনিত অসস্তি চলবে। আজ থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা। মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হলে কী হবে, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা অনেক দূর। অনেকটা সময় ধরে অস্বস্তিকর, ভ্যাপসা গরম। ঘেমেনেয়ে একশা হতে হচ্ছে। তার পর হঠাৎ বৃষ্টি নামছে, সেই সঙ্গে ঘন ঘন বিদ্যুতের চমক ও কান ফাটানো বাজ পড়া। গত কয়েক দিন যাবৎ কলকাতা ও আশপাশের এলাকা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গে মোটামুটি এটাই চিত্র (Weather Update)।

তবে এটা আদৌ বর্ষার বৃষ্টি নয়। জলীয় বাষ্পের উপস্থিতিতে দক্ষিণবঙ্গে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির এই পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিন্তু কলকাতা ও গোটা দক্ষিণবঙ্গে যা বর্ষা নামাবে, সেই দক্ষিণ–পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এখন থমকে রয়েছে দুর্বল মৌসুমি বাতাসের পক্ষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করা আপাতত কঠিন বলে জানাচ্ছেন আবহবিদরা।আজ কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে। তবে বৃষ্টি হলেও ভ্যাপসা গরম থাকবে। আজ দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা কমবে। আগামীকাল থেকে শুষ্ক ও গরম হাওয়া বেশি থাকবে কলকাতা হাওড়া হুগলি পূর্ব পশ্চিম বর্ধমান বাঁকুড়া পুরুলিয়া বীরভূমে অন্য জেলাতে গরমে অসস্তি থাকবে। আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

উওরবঙ্গেও আজ বৃষ্টি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। দার্জিলিং কালিম্পং আলিপুরদুয়ার জলপাইগুড়ি কোচবিহার এই ৫ জেলাতে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে।আন্দামান সাগরে ১৫ মে-তেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। পরে সমুদ্রে তৈরি শক্তিশালী নিম্নচাপের প্রভাবে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বাতাসের একটি শাখা উত্তর-পূর্ব ভারত হয়ে ঢুকে পড়েছিল উত্তরবঙ্গেও। সেটা ২৯ মে। আর তার পরেই সব চুপচাপ।একদিকে আরব সাগর এবং অন্য দিকে বঙ্গোপসাগরে তৈরি দুটি সিস্টেমই উধাও হওয়ার ফলে গতি হারিয়ে একেবারে স্তব্ধ বর্ষার বাতাস। নতুন করে বঙ্গোপসাগরে কোনও ওয়েদার সিস্টেম তৈরি না-হলে মৌসুমি বাতাসের পক্ষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করা সমস্যার হয়ে দাঁড়াবে।

আবহাওয়া ও জলবায়ু সংক্রান্ত বিষয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থা ‘স্কাইমেট’এর প্রেসিডেন্ট জিপি শর্মা অবশ্য মনে করছেন, কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে খুব ধীর গতিতে হলেও মৌসুমি বাতাসের অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা এখন রয়েছে। তবে সমুদ্রে নতুন সিস্টেমটি তৈরি না-হলে দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ এলাকা-মৌসুমি বায়ুর নাগালের বাইরেই থেকে যাবে। তার আগে পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি, মানে এখন যেটা মাঝেমধ্যে হচ্ছে, সেই প্রাক-বর্ষার বৃষ্টি টুকুই দক্ষিণবঙ্গের প্রাপ্তি।