ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুন : অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার কর্মচারীদের দৈনিক কাজের সময় বাড়িয়ে ১০ ঘণ্টা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি, ওভারটাইমের সর্বোচ্চ সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে এবং মহিলাদের কাজের নিয়মেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। সরকারের দাবি, নতুন নিয়মের ফলে বিনিয়োগকারীরা আরও সক্রিয় হবেন, যা কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করবে এবং কর্মচারীদের উপার্জন বাড়বে (Working Hours Update)। তবে, কাজের সময় বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্ধ্রপ্রদেশের টিডিপি-র নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারকে তীব্র সমালোচনা করছে বিরোধী দলগুলি।
সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, অন্ধ্রপ্রদেশের তথ্য ও জনসংযোগমন্ত্রী কে পার্থসারথি জানিয়েছেন, রাজ্যের শ্রম আইনে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত অন্ধ্রের ক্যাবিনেট বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। মন্ত্রী বলেন, “৫৪ নম্বর ধারায় যেখানে দিনে ৯ ঘণ্টা কাজের নিয়ম ছিল, সেটি ১০ ঘণ্টা করা হয়েছে। ৫৫ নম্বর ধারায় পাঁচ ঘণ্টা কাজের পর এক ঘণ্টা বিশ্রাম মিলত, এখন তা ৬ ঘণ্টা পর দেওয়া হবে।” এছাড়া, শ্রম আইন অনুযায়ী, আগে কর্মচারীরা ৭৫ ঘণ্টার বেশি ওভারটাইম করতে পারতেন না, তবে এখন সেই সময়সীমা বৃদ্ধি করে ১৪৪ ঘণ্টা করা হয়েছে।
মন্ত্রী ব্যাখ্যা করেছেন যে, শ্রম আইনের এই পরিবর্তন রাজ্যের কারখানাগুলিতে বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে, ফলে নতুন বিনিয়োগকারীর আগমন ঘটবে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “এই নতুন নিয়মের মূল সুবিধা কর্মীদেরই পাওয়া উচিত। বিশ্বায়ন প্রতিটি রাজ্যেই ঘটছে, তাই আন্তর্জাতিকভাবে প্রচলিত নিয়মের সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখার জন্য আইন সংশোধন জরুরি।”
অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার মহিলাদের কাজের নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে। এতদিন রাতের শিফটে কাজের ওপর বিধিনিষেধ থাকলেও এবার সে নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। এখন থেকে মহিলারাও রাতের শিফটে কাজ করার সুযোগ পাবেন, এবং তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করবে সরকার।এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানিয়েছেন—“বাড়তি কাজ করলে আয়ও বাড়ে। নতুন নিয়মের ফলে মহিলাদের রোজগার বৃদ্ধির সুযোগ মিলবে।” তবে, এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেছেন অন্ধ্রের সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদক কে রামকৃষ্ণা। তাঁর বক্তব্য—“গত ১১ বছরে মোদী সরকার একাধিকবার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা শ্রমিকদের স্বার্থের পরিপন্থী।”