ডিজিটাল ডেস্ক, ২৪ অগাস্ট : তিন বছর ধরে চলতে থাকা যুদ্ধ থামাতে এবার সক্রিয় ভূমিকায় নামলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যদিও এখনো যুদ্ধবিরতির কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলেনি। এই টানাপোড়েনের মধ্যেই ভারতের কূটনৈতিক হস্তক্ষেপে যুদ্ধ শেষ হওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিতে শুরু করেছে।
মার্কিন শুল্ক সংঘাতের আবহে খবর মিলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শিগগিরই ভারত সফরে আসছেন। এবার নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে ভারতের ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রদূতের মন্তব্যে— তাঁর দাবি, খুব শিগগিরই ভারত সফরে আসবেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও (Zelensky India Tour)।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেকসান্ডার পোলিশচুক তুলে ধরেছেন ভারত ও ইউক্রেনের কৌশলগত অংশীদারিত্বের বিষয়টি। তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে সেই সম্ভাবনা রয়েছে, বিশ্বাস করুন। দুই পক্ষই এ নিয়ে কাজ করছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নয়াদিল্লি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আশা করছি, তিনি খুব শিগগিরই ভারত সফরে আসবেন। এটি আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক বড় পদক্ষেপ হবে। সফরের তারিখও শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে।”
একইসঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ থামাতে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার আবেদন জানান পোলিশচুক। তাঁর কথায়, “রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক বহু পুরনো ও মজবুত। ইউক্রেন আশা করে, ভারত তাদের বন্ধু দেশের সঙ্গে আলোচনা করে এই যুদ্ধের অবসানে সক্রিয় ভূমিকা নেবে।”
ইউক্রেনের সঙ্গে ভারতের বন্ধুত্বের প্রশংসা করে রাষ্ট্রদূত ওলেকসান্ডার পোলিশচুক জানিয়েছেন, ২০২৩ সাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। যা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক দিক বলে মনে করেন তিনি।
সাথে তিনি সমর্থন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সেই বার্তাকেও, যেখানে মোদি বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়, বরং শান্তির।” পোলিশচুক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর এই বার্তা আমরা পুরোপুরি সমর্থন করি। বর্তমান সংকটের সমাধান হওয়া উচিত কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমেই, যুদ্ধ নয়।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সাল থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলা যুদ্ধ ইতিমধ্যেই তিন বছরে পা দিয়েছে, কিন্তু শান্তির কোনও লক্ষণ এখনও দেখা যাচ্ছে না। যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেমন কোনও সাফল্য পাননি। বরং, রাশিয়ার তেল কেনার অজুহাতে ভারতের উপর এই যুদ্ধের দায় চাপিয়ে বসেছেন তিনি। তার জেরে নয়াদিল্লির উপর আরোপ করা হয়েছে বাড়তি শুল্কও।
এই জটিল পরিস্থিতির মধ্যেই রাশিয়া সাফ জানিয়েছে, দোনেৎস্ক অঞ্চল তাদের হাতে তুলে না দিলে যুদ্ধ থামবে না। এরই মাঝে খবর মিলেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীঘ্রই ভারত সফরে আসছেন। অন্যদিকে, এবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সম্ভাব্য ভারত সফর ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা।