ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ জুন : দমদমের মনজেন্দ্র দত্ত রোডের বাসিন্দা, সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী সারণী বন্দ্যোপাধ্যায় (১৩) ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে শনিবার ভোরে দুঃখজনকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। বৈদ্যনাথ গার্লস হাইস্কুলের শিক্ষার্থী সারণী কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন এবং শারীরিক দুর্বলতা দেখা দিলে তাঁকে প্রথমে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অভিযোগ উঠেছে, চিকিৎসায় গাফিলতির কারণে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে (Dumdum Dengue Death)। পরে তাঁকে তপসিয়ার একটি বড় বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, যেখানে শনিবার ভোর ৫টা ৪৫ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।
সারণীর মায়ের, গীতিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, প্রথম বেসরকারি হাসপাতালে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে তাঁর মেয়ের ফুসফুসে জল জমে এবং তা থেকে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরবর্তীতে তপসিয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা প্রাণপণ চেষ্টা করলেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি। গীতিকার ক্ষোভ, যদি প্রথম হাসপাতালেই সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হতো, তাহলে হয়তো আজ তাঁর মেয়েটি বেঁচে থাকত। দিকে, দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান হরেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, “মশাবাহিত রোগ রোধে আমরা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছি। মৃতের পরিবারের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। তবে প্রাথমিকভাবে ওই এলাকায় মশার লার্ভার অস্তিত্ব মেলেনি। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সারণী সম্প্রতি দিঘা সফরে গিয়েছিল। অনুমান, সম্ভবত সেখান থেকেই সংক্রমণটি ঘটে।”
স্বাস্থ্য ভবনের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দমদমে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা দুইজন। তবে মাত্র ১৩ বছর বয়সি এক ছাত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত ও কার্যকর মশা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গির মতো প্রাণঘাতী রোগ প্রতিরোধে প্রশাসনিক উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও সচেতনতা ও সতর্কতা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।