দেবারতি ঘোষের কলমে
শেখ মোজাম, মোজাম্মেল শেখ এরা এখন ভীষণ ব্যস্ত। দম খেলার ফুরসত নেই। বড় টিম নিয়ে নাওয়া খাওয়া ভুলে ফাইনাল টাচে ব্যস্ত ওরা। কালীঘাট মন্দিরের গোটা চত্বর থেকে স্কাইওয়াক, রাস্তার দুই পাস ,সব ঝাঁ চকচকে করে ফেলতে হবে ১৪ তারিখের আগেই।
শহরের অন্যতম দর্শনীয় স্থান যেখানে ভিন রাজ্য থেকে শুরু করে এ রাজ্যের এমনকি বিদেশী পর্যটকরাও একবার হলেও ঢুঁ মারেন সেই কালীঘাট মন্দির এর গোটা চত্বর সেজে উঠেছে নতুন রূপে। যার অন্যতম অংশ কালীঘাট স্কাইওয়াক সাধারণের জন্য খুলে যাচ্ছে বাঙালি নববর্ষের ঠিক আগেই।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির কাজ চলছে কালীঘাট স্কাইওয়াকে। আগামী ১৪ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই স্কাইওয়াক উদ্বোধন হতে চলেছে। প্রায় ৪৫০ মিটার লম্বা এবং প্রায় সাড়ে ১০ মিটার চওড়া স্কাইওয়াক কালীঘাটের দর্শনার্থীদের কাছে যাতায়াতের জন্য অন্যতম সুবিধার জায়গা হবে বলে দাবি কলকাতা পুরসভার।
পুরসভার অর্থনৈতিক সংকট, পরিকল্পনার বেশ কিছু অংশের ত্রুটি এবং ১৭০ মিটার হাইড্রেনের অবস্থানের কারণে কাজ পিছতে পিছতে প্রায় ৩ বছর কেটে গিয়েছে। কলকাতা পুরসভা সূত্রে খবর, স্কাইওয়াকে ওঠানামার জন্য মোট তিনটি সিঁড়ি, তিনটি লিফট এবং চারটি চলমান সিঁড়ি যুক্ত করা হয়েছে।
স্কাইওয়াকে সৌন্দর্যায়নে পাঁচটি ডোম বা গম্বুজ তৈরি করা হয়েছে। তাতে লাগানো হয়েছে সুসজ্জিত আলো।দেওয়ালের সর্বত্র কালীঘাটের পটচিত্র তৈরি করা হবে। কোন দেওয়ালে ফুটে উঠেছে কালীঘাটের মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে ম্যুরাল কারুকার্য। ইতিমধ্যেই কালীঘাট মন্দির এবং সংলগ্ন অংশ জুড়ে সৌন্দর্যায়নের কাজ প্রায় শেষের মুখে।
মন্দির সংলগ্ন অংশে গিয়ে এই স্কাইওয়াক নামবে। এসপি বা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জী রোড এবং কালীঘাট থানার দিক থেকে ওঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে।স্কাইওয়াক থেকে যাতে কালীঘাট মার্কেটের ভিতরে প্রবেশ করা যায় তার জন্য রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে।