Mid-Day Meal Update News:ভেদাভেদ দূর হল, এক হল মিড-ডে মিলের হাঁড়ি , NKTV বাংলা খবরের জের !

15

ডিজিটাল ডেস্ক ২৫জুনঃ সংবাদ মাধ্যমের খবর সম্প্রচার হতেই মিটল ভেদাভেদ,শুরু হলো হিন্দু মুসলিম একসাথে মিড ডে মিল রান্না। কিশোরীগঞ্জ মনমোহনপুর অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিডিয়া পৌঁছানোর পরই দীর্ঘদিনের প্রথা ভেঙে গেল। একসাথে আজ থেকে বুধবারই শুরু হতে চলেছে মিড ডে মিল। মিড ডে মিল শুরু হওয়ার পর থেকেই মিড ডে মিলে ধর্মের ভাগাভাগি দেখা গিয়েছিল। মিড ডে মিলের হিন্দুদের জন্য হিন্দু রাধুনীরা রান্না করতেন হিন্দু ছাত্রদের মিড ডে মিল। অন্যদিকে মুসলিম ছাত্রদের জন্য মুসলিম রাঁধুনি রান্না করতেন তাদের মিড ডে মিল। প্রধান শিক্ষক আজ সেই নির্দেশ দেওয়ার পরই আবার একসাথে মিড ডে মিল চালু হচ্ছে। আজ দুপুরে হয়েছে অবিভাবক মিটিং। সেখানে কি সিদ্ধান্ত হবে তা বলবে সময় (Mid-Day Meal Update News)।

মিড-ডে মিল শুরুর প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল যাতে স্কুলছুট বন্ধ করা যায়। ছাত্রছাত্রীদের সঠিক শিক্ষাটা প্রদান করা ,তাদেরকে এই মিড-ডে মিল এর মাধ্যমে স্কুলমুখী করা এবং দরিদ্র শিশুদের সুমষ খাবার প্রদানের মধ্য দিয়ে রাজ্যে শিক্ষার প্রসার ঘটান। সেই স্কুলেই যখন বিভেদের আতুঁড় ঘর তৈরি হয়, তখন শিক্ষার প্রসার ঘটবে কি করে? আর তাঁরই সুযোগ নিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ তাদের পকেট ভরাচ্ছে। ফায়দা লুটছে ধর্মীয় বিভাজনের মধ্য দিয়ে। যেখানে মানুষ হওয়ার প্রথম ধাপ শুরু হয়, সেখানেই বিভেদের নোংরা রাজনীতির মোড়কে ওই শিশুগুলিকে পথ চলতে হচ্ছে । আর তারই যাতে অবসান ঘটানো যায় , সেই শিশুগুলিকে সমাজের মূলস্রোতে ফেরাতেই NKTV বাংলা চ্যানেলের তরফ থেকে হানা দেওয়া হয় কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। আর তার জেরেই নড়েচ্ড়ে বসে প্রশাসন।

তারই জেরে এই ঘটনায় মহকুমাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। সরকারি স্কুলে কী ভাবে ধর্মীয় বিভাজন চলতে পারে তার জবাব চেয়েছেন তাঁরা। প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ জানান, “আমি মাত্র একবছর হল এই স্কুলে এসেছি। তার অনেক আগে থেকেই স্কুলে এইভাবে মিড ডে মিল রান্না হচ্ছে। একারণে মিড-ডে মিলের খাতে দ্বিগুণ খরচা হচ্ছে। এটা যাতে বন্ধ হয়, তার জন্য বুধবার তিনি বুধবার বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের বৈঠক ডেকেছি।” এলাকার প্রবীণ বাসিন্দা গণেশ গোঁসাই বলেন,“স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের মধ্যে ধর্মীয় ভেদাভেদ থাকাটা ঠিক নয়। সরকারী স্কুলে হিন্দু ও মুসলিম ঘরের পড়ুয়াদের জন্য আলাদা আলাদা করে মিড রান্না বন্ধ হোক, এটা আমিও চাই। কারণ ধর্ম নিরেপেক্ষতাই আমাদের ভারতবর্ষের গর্ব।”