Modi Warned USA : আমেরিকার বিরুদ্ধে মোদীর হুঁশিয়ারি!

49

ডিজিটাল ডেস্ক, ২৫ অগাস্ট : শুল্ক ইস্যুতে ওয়াশিংটনের কাছে মাথা নত করবে না ভারত— এমনই কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আমেরিকার আর্থিক চাপ সত্ত্বেও তাঁর সরকার সঠিক পথ খুঁজে বের করবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। আহমেদাবাদের এক জনসভা থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতিকে কেন্দ্র করে সরব হয়ে হুঁশিয়ারি দেন প্রধানমন্ত্রী (Modi Warned USA)।

সোমবার আহমেদাবাদের জনসভা থেকে শুল্ক ইস্যুতে আমেরিকাকে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “যতই চাপ আসুক না কেন, আমরা তা মোকাবেলা করতে নিজেদের শক্তি আরও বাড়াব। আত্মনির্ভর ভারতের যে সংকল্প আমরা নিয়েছিলাম, সেই পথে আমরা অনেকদূর এগিয়ে গিয়েছি। দেশ আজ অনেক বেশি শক্তিশালী। বর্তমানে গোটা বিশ্বেই অর্থনৈতিক স্বার্থকে সামনে রেখে নীতি তৈরি হচ্ছে।”

এরপরই শুল্ক নিয়ে ওয়াশিংটনের অবস্থানের প্রসঙ্গ টেনে মোদি বলেন, “আমরা আমেরিকার চাপ মেনে নেব না, মাথা নত করব না। আমাদের সরকার সঠিক পথ খুঁজে নেবে।” তাঁর স্পষ্ট বার্তা, “ভারত এই ধরনের একতরফা পদক্ষেপের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে রুখে দাঁড়াবে এবং নাগরিকদের স্বার্থকে সর্বাগ্রে রাখবে।”

প্রধানমন্ত্রী আরও আশ্বস্ত করেন, “আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আমাদের সরকার কখনওই ক্ষুদ্র উদ্যোগপতি, পশুপালক বা কৃষকদের ক্ষতির মুখে পড়তে দেবে না।”

আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি না হওয়ায় ভারতকে শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। প্রথম দফায় ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপানোর পর, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে আরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের কথা বলা হয়েছে। ট্রাম্পের দাবি, ভারতের রুশ তেল কেনার মাধ্যমেই ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার জন্য অর্থ পাচ্ছে রাশিয়া।

তবে আমেরিকার এই অভিযোগ সাফ খারিজ করে দিয়েছে ভারত। নয়াদিল্লির যুক্তি, রাশিয়ার কাছ থেকে শুধু ভারতই নয়— ইউরোপীয় ইউনিয়ন, চিন এমনকি আমেরিকাও রুশ প্রাকৃতিক গ্যাস ও অপরিশোধিত তেল কিনছে। সেই প্রেক্ষিতে শুধুমাত্র ভারতের উপর শুল্ক চাপানো সম্পূর্ণভাবে পক্ষপাতদুষ্ট ও অন্যায্য।

ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে— দেশের স্বার্থই সবার আগে। যেখানে সাশ্রয়ে তেল পাওয়া যাবে, সেখান থেকেই তেল আমদানি করবে ভারত।

প্রসঙ্গত, ভারতের উপর ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন শুল্কনীতি আগামী বুধবার থেকেই কার্যকর হতে চলেছে। তার আগে, ২৬ আগস্ট— অর্থাৎ মঙ্গলবার, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

বিদ্যমান ২৫ শতাংশ শুল্কের কারণে ইতিমধ্যেই রপ্তানিমুখী সংস্থাগুলির লাভের মার্জিন কমে গিয়েছে। একই সঙ্গে, আন্তর্জাতিক বাজারে তাদের প্রতিযোগিতা করার সক্ষমতাও হ্রাস পেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আগামী দিনে সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলি কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেবে, কোন কোন কৌশল গ্রহণ করা হবে— এসব বিষয় নিয়েই আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে কালকের ওই বৈঠকে।