Junior Doctors Calcutta High Court : বদলিতে ‘অস্বচ্ছতা’র অভিযোগে হাইকোর্টে জুনিয়র ডাক্তাররা
ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ মে : দেবাশিস হালদারের পর এবার জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাত এবং আসফাকুল্ল নাইয়া-কেও বদলি করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, এই বদলি প্রক্রিয়া অস্বচ্ছ ও অনৈতিক, যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তাররা এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন (Junior Doctors Calcutta High Court)। পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে, এবং আইনি পথে এর সমাধানের চেষ্টা চলছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের দ্বারস্থ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দুই সদস্য দেবাশিস হালদার এবং আসফাকুল্লা নাইয়া।
মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে বিচারপতি পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়। আগামী ৫ জুন মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার মেধাতালিকা প্রকাশের পরই বিতর্কের সূত্রপাত। অভিযোগ উঠেছে, কোনও নিয়ম না মেনেই শুধুমাত্র আরজি কর আন্দোলনের মুখ হওয়ার কারণেই প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন ওই তিন চিকিৎসক। ‘অস্বচ্ছ’ বদলির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বুধবার স্বাস্থ্যভবনে অভিযোগপত্র জমা দেন অনিকেত মাহাত ও আসফাকুল্লা নাইয়া। এবার তাঁরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে মামলা রুজু করেছেন, আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটলেন নিজেদের অধিকারের দাবিতে। পরিস্থিতি নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে, আন্দোলনের ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত আদালতের ওপর নির্ভর করছে।
স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে সিনিয়র রেসিডেন্ট পদ একটি ‘বন্ড’ পোস্টিং। স্নাতকোত্তর পরীক্ষার পর সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে যোগ দিলে তিন বছরের বন্ড বাধ্যতামূলক। যদি কেউ এই নির্ধারিত সময়ের আগে বন্ড অমান্য করে বেরিয়ে আসেন, তাহলে তাঁকে মোটা অঙ্কের ক্ষতিপূরণ দিতে হয়। তিন বছর পূরণ না করলে এই জরিমানার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে পারে। দেবাশিস হালদার সিনিয়র রেসিডেন্ট হিসাবে দুই বছর আগে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁর এক বছর এখনও বাকি। ফলে যদি তিনি কাজ ছেড়ে দেন, তাঁকে ১০ লক্ষ টাকা দিতে হবে। এদিকে, আসফাকুল্লা নাইয়া ও অনিকেত মাহাত যদি নির্দেশ মেনে কাজে যোগ না দেন, তাহলে তাঁদেরও ৩০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে। চিকিৎসক মহলে আশঙ্কা, যদি তাঁরা সিনিয়র রেসিডেন্টশিপের অভিজ্ঞতা না পান, তাহলে ভবিষ্যতে অধ্যাপনার সুযোগেও বাধা আসতে পারে, কারণ কোনও মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করতে গেলে কমপক্ষে এক বছরের সিনিয়র রেসিডেন্টশিপের অভিজ্ঞতা থাকা আবশ্যক। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের ভবিষ্যৎ এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।