Sukanta Majumder Sex Worker Comment : বাংলার আইনকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে তুলনা সুকান্তর!
ডিজিটাল ডেস্ক, ২১ জুন : রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের রাজ্য সভাপতি পদে থাকা সুকান্ত মজুমদার এবার এক বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচনার মুখে। রাজ্যের আইন ব্যবস্থাকে ‘সোনাগাছির যৌনকর্মী’দের সঙ্গে তুলনা করে তিনি উসকে দেন তীব্র প্রতিক্রিয়া (Sukanta Majumder Sex Worker Comment)। এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের দাবি, এমন অশালীন এবং অবমাননাকর মন্তব্যের জন্য সুকান্ত মজুমদারকে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
তৃণমূল কংগ্রেস তাদের অফিসিয়াল X (আগে টুইটার) হ্যান্ডেলে একটি ৮ সেকেন্ডের ভিডিও প্রকাশ করে রাজনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার একটি গাড়িতে বসে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনারা পশ্চিমবঙ্গের আইনটাকে সোনাগাছির সেক্স ওয়ার্কারে পরিণত করেছেন।” এই মন্তব্য সামনে আসতেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে একজন সাংবিধানিক পদে থাকা জনপ্রতিনিধি এমন ভাষা ব্যবহার করতে পারেন। শাসক দল এই মন্তব্যকে অশালীন, অবমাননাকর এবং অপ্রত্যাশিত বলেই মনে করছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সাম্প্রতিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে সরব হন। তাঁর বক্তব্য, “গত কিছু দিন ধরে সুকান্ত একের পর এক অশালীন ও অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করছেন। সোনাগাছির যৌনকর্মীদের অপমান করে তিনি যে তুলনা করেছেন, তা শুধু কুরুচিকর নয়, বরং সেই সমস্ত মা-বোনেদের প্রতি চরম অসম্মান।” তিনি আরও বলেন, “যাঁদের জীবনে থাকে যন্ত্রণা, অপমান, লড়াই—তাঁরা নিজেদের শ্রমের অধিকার আদায়ের জন্য দীর্ঘদিন ধরে সংগ্রাম করছেন। সেই প্রেক্ষাপটে তাঁদের পেশা ও জীবনকে খাটো করে রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া মধ্যযুগীয় মানসিকতার পরিচায়ক।” ঘোষ স্পষ্ট করে দাবি তোলেন, “এই মন্তব্যের জন্য সুকান্ত মজুমদারকে প্রকাশ্যে, হাতজোড় করে, সোনাগাছির যৌনকর্মীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে।”
সোশাল মিডিয়ায় কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য। বিজেপি নেতাদের বক্তব্যকে ঘিরে তিনি তুলেছেন অতীতের উদাহরণ। টুইটে দেবাংশু লেখেন, “হে বিজেপি, পোড়া মুখ কত হবে কালো? অনুব্রতে অপরাধ, সুকান্তে ভালো?” সুকান্ত মজুমদারের বিতর্কিত মন্তব্যের পর এবার প্রশ্ন উঠছে—তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয় কি না। রাজনৈতিক মহলের নজর এখন গেরুয়া শিবিরের অবস্থানের দিকে।