Bagda Couple Returns : BSF-BGB বৈঠকের পর রায়গঞ্জ দিয়ে দেশে ফিরলেন বাংলাদেশে ‘পুশব্যাক’ বাগদার দম্পতি
ডিজিটাল ডেস্ক, ১৭ জুন : উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার পরিবার দীর্ঘ উৎকণ্ঠার পর পরিযায়ী শ্রমিক ফজের মণ্ডল ও তাঁর স্ত্রী তসলিমা মণ্ডলকে বাংলাদেশ থেকে ফিরে পেয়ে স্বস্তির শ্বাস নিয়েছে (Bagda Couple Returns)। অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে তাঁদের বাংলাদেশি সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। যদিও তাঁরা আসল পরিচয়পত্র দেখান, তবুও পুলিশ তা আমলে নেয়নি। এরপরই তাঁদের ‘পুশব্যাক’ করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এই খবর পাওয়ার পর পরিবার প্রবল দুশ্চিন্তায় পড়ে এবং পুলিশের দ্বারস্থ হয়। শেষ পর্যন্ত সীমান্ত পেরিয়ে তাঁরা ফিরে আসতে সক্ষম হন। এই ঘটনা নিয়ে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, তবে পরিবার এখন তাঁদের ফেরার আনন্দে আশ্বস্ত।
উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ফজের মণ্ডল ও তসলিমা মণ্ডলকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ওঠে। এই বিষয়ে বাগদা থানার পুলিশ উত্তর দিনাজপুর প্রশাসন ও বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে। রবিবার বিএসএফ-বিজিবির মধ্যে ফ্ল্যাগ মিটিং হয়, যার পর তাঁদের ভারতে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জানা গেছে, তাঁদের বাংলাদেশের ভাতুড়ি গ্রামে রাখা হয়েছিল। গতকাল রাতে তাঁরা উত্তর দিনাজপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে ফেরেন। প্রথমে তাঁদের রায়গঞ্জের ভাটল পুলিশ ফাঁড়িতে আনা হয়, পরে পরিবারের সদস্যরা সেখানে পৌঁছে গেলে তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ছেলে-বউমাকে ফিরে পেয়ে আনন্দিত তাহাজুল ও লতিফা মণ্ডল। তাহাজুল মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি আর ছেলেকে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে ভিনরাজ্যে পাঠাবেন না। বরং এলাকায় থেকেই কাজের ব্যবস্থা করবেন। তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, রায়গঞ্জ ও বাগদা থানার পুলিশ, এবং বিএসএফকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নিত, তাহলে এত দ্রুত ছেলে-বউমাকে ফেরত পাওয়া সম্ভব হতো না। উল্লেখ্য, ফজের মণ্ডল দুই মাস আগে স্ত্রীকে নিয়ে মহারাষ্ট্রে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু চলতি মাসের ১০ তারিখে তাঁরা বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে গ্রেফতার হন।
সম্প্রতি নয়ানগর থানার এলাকায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযোগ, এই অভিযানে কয়েকজন অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে পরিযায়ী শ্রমিক দম্পতি ফজের মণ্ডল ও তসলিমা মণ্ডলকেও আটক করা হয়। দম্পতি জানান, তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার বাসিন্দা এবং তাঁরা যথাযথ পরিচয়পত্র দেখান, কিন্তু পুলিশ তা বিশ্বাস করেনি। এরপর ১০ জুন নয়ানগর থানার পুলিশ তাঁদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিচয়পত্র পাঠানোর নির্দেশ দেয়। বাবা তাহাজুল মণ্ডল সমস্ত নথি পাঠালেও, অভিযোগ উঠেছে যে ওই দম্পতিকে তখনও মুক্তি দেওয়া হয়নি। পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। শনিবার সকালে বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে বিজিবির ফোনে জানা যায়, তাঁদের বাংলাদেশিদের সঙ্গে পুশব্যাক করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে।