ডিজিটাল ডেস্ক ২৩শে অগাস্টঃ নিউ গড়িয়ার (New Garia) পঞ্চসায়র থানা এলাকায় বৃদ্ধাকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল পরিবারের পরিচিত আয়া এবং তাঁর এক পুরুষ সঙ্গীকে। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দু’জনকে পাকড়াও করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে ওই আয়া আশালতা সর্দার ঢোকেন। তাঁর সঙ্গী মহম্মদ জালাল মীর বাইরে অপেক্ষা করছিলেন। এর পরেই ঘটে খুনের ঘটনা। পুলিশের অনুমান, দম্পতির সম্পত্তি দখল করার উদ্দেশ্যেই এই চক্রান্ত।
ধৃত দু’জনকে হেফাজতে নিয়ে বিস্তারিত জেরা করবে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কেউ জড়িত কি না, সেই দিকেও নজর দিচ্ছেন তদন্তকারীরা।
পঞ্চসায়রের এস–৩২ কুলু ভিলার ৮২ বছরের প্রশান্ত দাস আর তাঁর স্ত্রী বিজয়া দাস (৭৯) ছিলেন নিরিবিলি দোতলা বাড়িতে। শুক্রবার সকালে সেই বাড়িই হয়ে ওঠে আতঙ্কের কেন্দ্র। সিঁড়ির কাছে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হয় বৃদ্ধার দেহ। পাশের ঘরে মেঝেতে আতঙ্কগ্রস্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন বৃদ্ধ। আপাতত তাঁকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে।
পরিবারের ছেলে থাকেন মুম্বইয়ে,মেয়ে জার্মানিতে। তাই বৃদ্ধ দম্পতির দেখাশোনার জন্য সম্প্রতি আয়া নিয়োগ করেছিলেন তাঁরা। নিকটবর্তী আয়া সেন্টার থেকেই এসেছিলেন আশালতা সর্দার। ঘটনার পর থেকেই তাঁর খোঁজ মেলেনি। সন্দেহ ঘনীভূত হয়। অবশেষে শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় আশালতা ও তাঁর সঙ্গী মহম্মদ জালাল মীরকে। পুলিশের দাবি, দু’জনে মিলে সম্পত্তি লুটের ছক কষেই এই হত্যাকাণ্ড।
বাড়ির সর্বক্ষণ নজরদারির জন্য সিসি ক্যামেরা বসানো ছিল। কিন্তু তদন্তকারীরা দেখেন, ক্যামেরার তার কেটে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন। অর্থাৎ, খুনের আগে থেকেই পরিকল্পনা করে মাঠে নামে দুষ্কৃতীরা।
বৃদ্ধার গলায় থাকা সোনার হার, হাতের চুড়ি, কানের দুল সব উধাও। খোলা অবস্থায় মিলেছে আলমারি। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, গয়নাগাটি লুট করেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর,কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত আয়া ও তার সঙ্গীকে গ্রেপ্তার করে। আশালতা ও তাঁর সঙ্গীকে হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু হয়েছে। তাঁদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আরও কারও জড়িত থাকার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।