ডিজিটাল ডেস্ক, ১৬ এপ্রিল: কলকাতা থেকে ৬৫ জনের এক প্রতিনিধিদল একদিনের কর্মসূচিতে ধর্মতলা থেকে যন্তর-মন্তরে পৌঁছন। সেখানে ধর্ণার মাধ্যমে গোটা দেশের কাছে নিজেদের যন্ত্রণা হতাশাকে তুলে ধরতে চাইছেন চাকরিহারারা। চাকরি ফিরে পাওয়ার লড়াই, ন্যায়বিচার ফিরে পাওয়ার লড়াই। বুধবার ভোরে তাঁরা পৌঁছন দিল্লির যন্তর মন্তরে। দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে ধর্ণা ও অবস্থান কর্মসূচী। দিল্লিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি কাছে নিজেদের দুর্দশার ছবি তুলে ধরতেই তাঁদের আজকের এই কর্মসূচি।
চাকরি ফিরে পেতে চাকরিহারারা রাজ্য সরকার, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে আদালতে উপযুক্ত তথ্য পেশের দাবিও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপেরও দাবি জানিয়েছেন।
তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চেয়েছেন। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও অনুমতি দেয়নি। নয়া কর্মসূচীর ঘোষণা করলেন তারা। ১৭ এপ্রিল চাকরিহারাদের একাংশ ওয়াই চ্যানেল থেকে সরকারি কর্মীদের ব্যাজ প্রদান করবেন। সেই ব্যাজ পরে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য অনুরোধও করবেন তাঁরা। আগামী ২১ এপ্রিল নবান্ন অভিযান করবেন বঞ্চিত চাকরিহারা ঐক্যমঞ্চ ও চাকরিজীবীরা। আগামী ২২ এপ্রিল তারা রাজভবন ভবন অভিযান করবেন। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে ডেপুটেশন জমা দেবেন। ১-৭ মে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে তাঁদের রিলে অনশন চলবে। এরপর শুরু করবেন আমরণ অনশন।
প্রসঙ্গত সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বাতিল হয়েছে ২৫,৭৫৩ জনের চাকরি । সেখানে রয়েছে বহু অযোগ্য শিক্ষক। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন । কিন্তু সেই তালিকার পাশাপাশি এই প্রায় ২৬ হাজার জনের মধ্যে রয়েছেন বহু যোগ্য শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীও। যাদের নিয়ে তদন্ত করেছিল সিবিআই । কিন্তু সেই রিপোর্টকে মান্যতা দেয়নি দেশের শীর্ষ আদালত । ফলে বাতিল হয়েছে ২০১৬সালের গোটা প্যানেল। তাতেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে উঠে এসেছে দুর্দশার ছবি।