কলকাতা, ১ মে: বড়বাজারের মেছুয়ায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর তিনি সরাসরি পৌঁছন পার্ক স্ট্রিটের ম্যাগমা হাউসে। সঙ্গে ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা এবং একাধিক প্রশাসনিক আধিকারিক। সেখানে রেস্তরাঁর সামনে সারি দিয়ে রাখা ২৪টি গ্যাস সিলিন্ডার দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি স্পষ্ট নির্দেশ দেন, “রেস্তরাঁর ছাদ আর কোনওভাবেই বন্ধ করা যাবে না।”
বৃহস্পতিবার ম্যাগমা হাউসের সামনে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আগুন লাগলে দমকল কী করবে? ধোঁয়ার পরিস্থিতি সামাল দিতেই হিমশিম খেতে হবে। এত সিলিন্ডার যদি একসঙ্গে বিস্ফোরণ হয়, তাহলে এখানে ৫০ হাজার লোক মারা যেতে পারে।” তিনি নির্দেশ দেন, “মেয়র, কলকাতা পুলিশ কমিশনার ও দমকল আধিকারিকরা এখানে বসে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবেন। জরুরি বৈঠক ডাকা হবে। আমি যা বলেছি, সেটাই হবে— রেস্তরাঁর ছাদ বন্ধ করা যাবে না।”
কেন হঠাৎ ম্যাগমা হাউসে পরিদর্শনে গেলেন, সেই প্রশ্নে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “আমি একজনের কাছ থেকে শুনেছিলাম। কয়েকদিন আগে এসেছিলেন, বলেছিলেন অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এখানে একটা ছোট্ট সিঁড়ি আছে— আগুন লাগলে কেউ নামতেই পারবে না। সবাই লিফট ব্যবহার করে ওঠানামা করছে। কিন্তু মানুষ তো জানে না, আগুন লাগলে সেই লিফট ব্যবহারে কী ভয়ঙ্কর বিপদ হতে পারে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এর আগে মেছুয়ার অগ্নিকাণ্ড কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখযোগ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মেছুয়ার এক হোটেলে ভয়াবহ আগুনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়। সেই সময় তিনি দিঘায় থাকলেও, অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি মুহূর্তের খবর রাখছিলেন। জগন্নাথধামের উদ্বোধন সেরে শহরে ফিরে বৃহস্পতিবারই তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলার সময় মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বিপজ্জনক ভবনগুলি থেকে সরে যাওয়ার আহ্বান জানান। তিনি স্পষ্ট বার্তা দেন, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কেউ এই বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে, সরকার নিজেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।