ডিজিটাল ডেস্ক, ৩০ মে : বিহারের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন। অপারেশন সিঁদুর সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, সেই বিহার থেকেই তিনি দৃঢ় কণ্ঠে বার্তা দেন—“কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাকিস্তানের বায়ুসেনার ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনা। এটাই নতুন ভারতের শক্তি।” এই বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি ভারতের সামরিক সক্ষমতা ও দৃঢ় নীতির ওপর জোর দিয়েছেন (Narendra Modi On Operation Sindoor)।
বিরোধীদের অভিযোগ, অপারেশন সিঁদুর-এর সাফল্যের কৃতিত্ব নিতে মরিয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিহারের ভোটপ্রচারে তিনি সেনার এই অভিযানকে হাতিয়ার করবেন, এমন আশঙ্কা আগেই ছিল বিরোধী শিবিরে। বাস্তবে, শুক্রবার বিহারের কারাকাটের সভায় প্রধানমন্ত্রী জ্বালাময়ী বক্তৃতা দেন অপারেশন সিঁদুর নিয়ে। তাঁর বক্তব্য—তাঁর সরকারের নেতৃত্বেই ভারত সন্ত্রাসবাদীদের যোগ্য জবাব দিতে শিখেছে। এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে, বিশেষত আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে।
বিহারের সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দৃঢ় কণ্ঠে বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, “পহেলগাঁও হামলার পর আমি বিহারে দাঁড়িয়ে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, হামলাকারীরা রেহাই পাবে না। আজ আমাদের সেনা পাকিস্তানের জঙ্গি সদর দপ্তর ধ্বংস করে দিয়েছে।” তিনি পাকিস্তানের সেনাকেও নিশানা করে বলেন, “যে পাক সেনার নিরাপত্তায় সন্ত্রাসবাদীরা ভারতে অনুপ্রবেশ করে, সেই পাক সেনাকেই আমাদের সেনার যোগ্য হামলায় ধরাশায়ী করা হয়েছে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই পাক জঙ্গিদের সদর দপ্তর ধ্বংস করা হয়েছে। এটাই নতুন ভারতের শক্তি।” প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ভারতের প্রতিরক্ষা শক্তি ও দৃঢ় অবস্থানকে তুলে ধরেছে।
পহেলগাঁও হামলার দুদিন পর বিহারে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, “জঙ্গিরা এবার কল্পনাতীত শাস্তি পাবে।” শুক্রবার সেই প্রতিশ্রুতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “এই বিহারের মাটি থেকেই আমি প্রতিজ্ঞা করেছিলাম সন্ত্রাসবাদীদের গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। ওরা কল্পনাতীত শাস্তি পাবে। আমি আমার প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছি। যারা পাকিস্তানের মাটিতে বসে আমাদের বোনেদের সিঁদুর কেড়ে নিয়েছে, তাঁদের ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে আমাদের সেনা। এবার পাকিস্তান দেখেছে সিঁদুরের শক্তি।” বস্তুত, ভোটমুখী বিহারে তিনি সিঁদুরের প্রতীকী শক্তিকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক প্রচার চালালেন। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চর্চার বিষয় হয়ে উঠেছে।