ডিজিটাল ডেস্ক, ৩১ মে : বোলপুর থানার আইসিকে কদর্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগে প্রথম নোটিসে হাজিরা এড়ালেন তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আইনজীবীরা দাবি করেছেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি হাজিরা দিতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে পুলিশ দ্বিতীয় নোটিস পাঠিয়েছে, যেখানে রবিবার বেলা ১১টায় তাঁকে বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে (Anubrata Mondal Police Notice)। এখন দেখার বিষয়, দোর্দণ্ডপ্রতাপ এই তৃণমূল নেতা এবার হাজিরা দেন কিনা।
শনিবার বোলপুর মহকুমা আধিকারিকের দপ্তরে অনুব্রত মণ্ডলের চারজন আইনজীবী উপস্থিত হন, যাঁদের মধ্যে ছিলেন বিপদতারণ ভট্টাচার্য ও সন্দীপ সরকার। তাঁদের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে অনুব্রত মণ্ডল থানায় হাজিরা দিতে পারেননি। এই পরিস্থিতিতে বীরভূম জেলা পুলিশ ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দ্বিতীয় নোটিস পাঠিয়েছে, যেখানে রবিবার বেলা ১১টায় তাঁকে বোলপুর এসডিপিও অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে, অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারির দাবিতে সাঁইথিয়া ও রামপুরহাট থানার সামনে বিজেপি কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরিস্থিতির উপর প্রশাসন নিবিড় নজর রাখছে।
বীরভূমের সদ্য প্রাক্তন তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তিনি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন, যার কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও ‘সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল’ সেই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি। শুক্রবার পুলিশ ওই অডিওর ভিত্তিতে অনুব্রতর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে, যেখানে দুইটি জামিন অযোগ্য-সহ মোট চারটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এরপর তাঁকে শনিবার থানায় হাজিরা দিতে নোটিস পাঠানো হয়। শুক্রবার দুপুরে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাঁকে কঠোর বার্তা পাঠায়—চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা না চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনকি শোকজও করা হতে পারে। এরপর আর সময় নষ্ট না করে তিনি দ্রুত চিঠি লিখে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে নেন এবং দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিকেও চিঠি পাঠান। তবে ক্ষমা চাওয়ার পরও তিনি থানায় হাজিরা এড়িয়েছেন। সূত্রের খবর, সোমবার তিনি আগাম জামিনের আবেদন নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হতে পারেন। পরিস্থিতির উপর প্রশাসন নিবিড় নজর রাখছে।