ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুন : অপারেশন সিঁদুরে ভারত যে যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, তা প্রথমবার সরকারিভাবে স্বীকার করেছেন সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান (CDS On Operation Sindoor)। তবে তিনি এই ক্ষয়ক্ষতিকে বিশেষ গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “যে কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লোকসানের চেয়ে ফলাফলই আসল।” তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, “যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়া বড় বিষয় নয়, বরং কেন তা ধ্বংস হল সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।” তাঁর মতে, বাহিনী দ্রুত কৌশলগত ভুল বুঝতে পেরে তা সংশোধন করেছে এবং পুনরায় আক্রমণ চালিয়েছে।
পাকিস্তান দাবি করেছিল যে অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা হামলায় তারা রাফালে-সহ ভারতের ৬টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। এই দাবিকে কেন্দ্র করে দেশে বিতর্ক দানা বাঁধলেও, ভারত সরকার সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি। তবে সেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, যুদ্ধে ক্ষয়ক্ষতি স্বাভাবিক ঘটনা. এই পরিস্থিতির মধ্যেই শনিবার সিঙ্গাপুরে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহান স্বীকার করেন যে ভারত যুদ্ধবিমান হারিয়েছে। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “যুদ্ধবিমান ধ্বংস হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, বরং কেন তা ধ্বংস হল সেটাই আসল বিষয়।” চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ আরও ব্যাখ্যা করেন, “আমরা আমাদের কৌশলগত ভুল দ্রুত বুঝতে পেরেছিলাম এবং তা শুধরে দুদিন পর আবার সেই কৌশল প্রয়োগ করেছি। আমরা সমস্ত যুদ্ধবিমান উড়িয়েছি এবং দূরের লক্ষ্যবস্তুকে সফলভাবে ধ্বংস করেছি।”
সেনা সর্বাধিনায়ক অনিল চৌহানের স্বীকারোক্তি প্রত্যাশিতভাবেই রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে। বিরোধী শিবির প্রশ্ন তুলছে— এতদিন কেন এই সত্য গোপন রাখা হয়েছিল? ভারতকে কেন যুদ্ধবিমান হারাতে হল? তবে জেনারেল চৌহান এই বিতর্কে গুরুত্ব না দিয়ে বলেন, “যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লোকসান নিয়ে বেশি আলোচনা করা উচিত নয়। আমার মতে লোকসানটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যখন তুমি একটা ক্রিকেট ম্যাচ খেলতে যাও, সেটাকে যে কোনও মূল্যে জিততে চাও। কত উইকেট খুইয়ে জিতলে সেটা জরুরি নয়।” তিনি বোঝাতে চান, যুদ্ধের আসল লক্ষ্য হলো জয়, ক্ষয়ক্ষতির হিসাব নয়। তাঁর মতে, বাহিনী কৌশলগত ভুল দ্রুত বুঝতে পেরে তা সংশোধন করেছে এবং পুনরায় আক্রমণ চালিয়েছে।