ডিজিটাল ডেস্ক, ৩ জুন :অনুব্রতে জর্জরিত তৃণমূল একেই বেশ অস্বস্তিতে , তার মধ্যেই তলব করা হল বীরভূমের তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি বিক্রমজিৎ সাউকে। আগেই এই নেতাকে ৬ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছে রাজ্য তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্ট তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। । গত সপ্তাহে অনুব্রতের বোলপুরের আইসি লিটন দাসকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করা থেকে শুরু তার পরিবারের মেয়েদের নোংরা ভাষায় আক্রমণের যে অডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল তাতেও দল থেকে অনুব্রতকে ক্ষমা চেয়ে নিতে বলা হয়েছিল। এছাড়াও এই নিয়ে অনুব্রতকে পুলিশি তলব করা থেকে অনেকরকম জল গড়িয়ে গেছে রাজনীতির ময়দানে। ঠিক সেই রেশ ধরেই বোলপুরের আইসিকে নিয়ে পোস্ট করার জন্য বিক্রমজিৎ সাউকে নোটিস ধরাল পুলিশ (Birbhum Controversy)।
সম্প্রতি বোলপুর থানার আইসি লিটন হালদারকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ করেন বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। এর পরই কেষ্টদাকে সমর্থন করে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিক্রমজিৎ। “তাঁকে বলতে শোনা যায়, লিটন হালদার নাম নিয়ে বলছি, তোমার দম থাকলে, অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে, বীরভূম জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নামে এফআইআর করে দেখিও। তুমি জানো, তুমি দুর্নীতিপরায়ণ। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আছে। তুমি যদি ভাবো ডালে ডালে চলবে, তোমাদের শিরায় উপশিরায় আমরা চলি।”
ছাত্র পরিষদের ঐ নেতা বীর বিক্রমে চ্যালেঞ্জও করে আইসি লিটন হালদারকে আরও বলে, ” তুমি একটা আইসি, সরকারি কর্মচারী। পারলে আমার নামে কেস করো। তুমি যে অন্যায় করেছ, তার শাস্তি তোমাকে বীরভূমেই পেতে হবে।” শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগও তোলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে তাঁরই দলের পক্ষ থেকে। ঐ নেতার বাবা বিদ্যাসাগর সাউও বিরক্তি প্রকাশ ছেলের এই আচরণে। বিদ্যাসাগর সাউ বলেছেন” আমি বাবা হিসেবে ব্যর্থ। আমার লজ্জা, ছেলেকে আমি শালীনতা শেখাতে পারিনি। আমি ওই অফিসারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।”