ডিজিটাল ডেস্ক,৪ জুনঃ জয়ের হাসি হাসতে এমনিতেই আরসিবির ১৮ টা বছর লেগে গেল তারপর আবার তাদের বিজয়যাত্রায় বাধা কর্নাটক পুলিশের। কর্নাটকের বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত হুডখোলা বাসে বিজয় শোভাযাত্রা করবে আরসিবি। কিন্তু যানজটের দোহাই দিয়ে ওই শোভাযাত্রার অনুমতি বাতিল করল পুলিশ। ফলে বাসে চেপে শহর প্রদক্ষিণ করার স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেল রজত পাতিদারদের(RCB Celebration News Update)।
প্রত্যেকবারই যেখানকার যে টিমই আইপিএল জেতে সেই টিমই তার রাজ্যের শহরে এসে বিজয়যাত্রা করে থাকে। কলকাতা,চেন্নাই, মুম্বাই প্রত্যেক টিমের ক্ষেত্রেই তারা তাদের জয় যাত্রা করেছে। তবে বেঙ্গালুরুর ক্ষেত্রে তার অনিয়ম কেন?ইতিমধ্যেই এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বেঙ্গালুরু ভক্তকুলের মনে। এসবকিছুতে জল ঢেলে কর্ণাটক পুলিশের বক্তব্য যানজটের আশঙ্কা। যেখানে আগে থেকেই ঠিক ছিল চ্যাম্পিয়ন হলে‘আরসিবি ভক্তদের উৎসবে’র দিন ঘোষণা করা হোক, এই মর্মে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীকে আগেই চিঠি লিখেছিল ভক্তকুল। যা অনেকটা কর্নাটক রাজ্যোৎসবের সমান। চিঠিতে ওই ভক্ত কর্নাটক সরকারকে লিখেছিলেন, একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হোক। যেটা প্রত্যেক বছর পালন করা হবে। তবে ছুটি ঘোষণা নিয়ে সরকারের তরফ থেকে কিছু বলা হয়নি।
তবে ছুটি ঘোষণা না হলেও আরসিবির জন্য বিরাট সেলিব্রেশনের আয়োজন করা হয়েছে কর্নাটকে। জানা গিয়েছিল, বুধবার দুপুর দেড়টা নাগাদ হ্যাল বিমানবন্দরে নামবেন রজত পাতিদাররা। সেখান থেকে বিকেল চারটে নাগাদ তাঁরা পৌঁছবেন কর্নাটকের বিধান সৌধে। চ্যাম্পিয়ন দলের সঙ্গে সেখানে সাক্ষাৎ করবেন সিদ্দারামাইয়া। সম্মান জানানো হবে গোটা দলকে। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত সম্ভবত বিধান সৌধে থাকবেন বিরাটরা। সেখান থেকে চিন্নাস্বামীর দিকে রওনা দেবেন আইপিএল চ্যাম্পিয়নরা। ট্রফি নিয়ে হুডখোলা বাসে চেপে যাবেন বিরাটরা।
ট্রাফিক জ্যামের জন্য বেঙ্গালুরু বরাবরই কুখ্যাত। তার মধ্যে যদি আড়াই কিলোমিটার পথ ধরে বিজয় শোভাযাত্রা করে আরসিবি, তাহলে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে থাকবে ওই রাস্তা। ফলে চাপ বাড়বে শহরের অন্য পথগুলিতে। এতকিছু মাথায় রেখেই বিজয় শোভাযাত্রায় অনুমতি দেয়নি পুলিশ। ফলে নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিধান সৌধ থেকে সরাসরি চিন্নাস্বামী পৌঁছে যাবে দল। স্টেডিয়ামে বিরাট সেলিব্রেশন হবে বিরাটদের নিয়ে।