Amarnath Yatra Preparation : সামনে অমরনাথ যাত্রা! জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় কাশ্মীরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা, মোতায়েন ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা
ডিজিটাল ডেস্ক, ৪ জুন : পহেলগাঁও ঘটনার পর অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকার বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উচ্চ পর্যায়ের নিরাপত্তা বৈঠক করেছেন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, যাত্রার সময় জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় উপত্যকায় এবার ৫০ হাজারেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তার জন্য তিন স্তরের বিশেষ ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে (Amarnath Yatra Preparation)।
৩ জুলাই থেকে কাশ্মীরে শুরু হতে চলেছে অমরনাথ যাত্রা, যা চলবে ৯ অগস্ট পর্যন্ত। প্রথম পুণ্যার্থীদের বাস শ্রীনগর থেকে ছাড়বে সেই দিনই। যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এর আগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে সাজানো হয়েছে, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘অপারেশন শিব’।
গত ২৯ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিংহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, যেখানে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হয়। পরে মনোজ সিংহও নিরাপত্তার বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করেন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি সূত্রের খবর—নিরাপত্তাবাহিনী ইতিমধ্যেই অমরনাথ যাত্রাপথের থ্রিডি ম্যাপিং সম্পন্ন করেছে। যাত্রাপথ, বেসক্যাম্প এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর এলাকায় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। পুণ্যার্থীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে তাঁদের থাকার জায়গাগুলিতেও সেনা মোতায়েন থাকবে। নজরদারির জন্য ব্যবহার করা হবে ড্রোন এবং হেলিকপ্টার। পাশাপাশি, বডি স্ক্যানার ও সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কড়া নজর রাখা হবে। এছাড়াও, নথিভুক্ত পুণ্যার্থীদের ‘রেডিয়ো ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন’ (RFID) ট্যাগ দেওয়া হবে, যাতে তাঁদের গতিবিধি নিরীক্ষণ করা সম্ভব হয়।
গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারান ২৬ জন, যাদের মধ্যে ২৫ জন ছিলেন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা। এই ঘটনার পর ভারত পাক-অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে অভিযান চালিয়ে একাধিক জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে। এর ফলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে শুরু করে। তবে পরে দু’দেশ সংঘর্ষবিরতিতে সম্মত হয়, যা এখনও বহাল রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অমরনাথ যাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের উদ্বেগ ও বিশেষ প্রস্তুতি গ্রহণ করা স্বাভাবিক। যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে যাত্রীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।