ডিজিটাল ডেস্ক, ৬ জুন : কয়েক মাস আগে তৃণমূলের ‘পরামর্শদাতা সংস্থা’ আইপ্যাককে নিশানা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra Controversy)। এবার সদ্য এক কর্মীসভার বৈঠকে তিনি ফের দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে কড়া মন্তব্য করলেন। কামারহাটি বিধানসভার ওই সভায় উপস্থিত কর্মীদের একাংশকে ইঙ্গিত করে বিধায়ক বলেন, “এখানে যারা আছেন, তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ তৃণমূলের দেওয়া চাকরি পেয়েছেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যেও কিছু কর্মী রয়েছেন, যারা দলটাকে খুবলে নিয়েছেন।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
মদন মিত্র আরও বলেন, “কেউ নেই যাঁদের তৃণমূলের জুতোর তলায় আশ্রয় নিতে হবে, কারণ বাঁচানোর মতো কোনও অভিভাবক পাশে দাঁড়াবে না।” তিনি জোর দিয়ে জানান, সভায় উপস্থিত প্রায় ৪০ শতাংশ কর্মী দলের দেওয়া চাকরি পেয়েছেন। ব্লক সভাপতিকে নির্দেশ দেন, “প্রত্যেক ওয়ার্ড ধরে ধরে রিপোর্ট নিতে হবে—কে মিটিং-মিছিলে আসছেন না, সভায় থাকছেন না, তাঁদের চিহ্নিত করতে হবে।” তাঁর এই বক্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন তুলেছে।
আগেও দলের একাংশকে সরাসরি নিশানা করে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। এবারও তিনি দলীয় পদ নিয়ে আর্থিক লেনদেনের অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছিলেন, “আমি একজন এমএলএ ছিলাম, কিন্তু আমার কোনও ক্ষমতা ছিল না। হঠাৎ করেই ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছি। এখন আমার পদ চাই। আমি বললাম, ভাই আমায় মন্ত্রী করো। কিন্তু ভাল মন্ত্রী হতে গেলে ১০ কোটি টাকা দিতে হবে। আমি দিয়ে দিলাম। মন্ত্রী হলাম কি হলাম না, সেটাই দেখার বিষয়। যদি হয়ে যাই, তাহলে ১০ কোটি থেকে ২০ কোটি বানিয়ে ফেলব। আর যদি না হই, তাহলে ১০ কোটি হারিয়ে যাবে। এফআইআর করা যায় না, কারণ এর কোনও নথি নেই। এটাই টাকার খেলার বাস্তবতা।”
রাজনীতির মঞ্চে এমন মন্তব্যের পর বিতর্ক তুঙ্গে, বিশেষ করে ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে মদন মিত্র আবারও আলোচনার কেন্দ্রে।