Corona New Variant China : চিনে মিলল করোনার নয়া প্রজাতি! আবার অতিমারীর আশঙ্কায় গবেষকরা!

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুন : করোনার উৎসস্থল চিনে নতুন এক মারণ ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে, যার নাম HKU5-CoV-2 (Corona New Variant China)। বিজ্ঞানীদের মতে, এই ভাইরাসের জিনগত পরিবর্তন (মিউটেশন) সামান্য হলেও, এটি আরও ভয়াবহ রূপ নিতে পারে। এর ফলে সংক্রমণের হার দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণহানির কারণ হতে পারে। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় লকডাউনও পুনরায় জারি হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিনের বিজ্ঞানীরা। তারা নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে এই নতুন প্রজাতির গতিবিধি বোঝার চেষ্টা করছেন।

পাঁচ বছর আগে কোভিড-১৯ এর তাণ্ডবে বিশ্বজুড়ে সংক্রমণ, মৃত্যু ও লকডাউনের ভয়াবহতা দেখা গিয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক দেশে নতুন করে করোনার সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ৫,০০০ ছাড়িয়েছে। তবে ভারতীয় বিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ভারতে ছড়িয়ে পড়া এনবি.১.৮.১ ও জেএন.১ প্রজাতির করোনা ভাইরাসের মারণক্ষমতা তুলনামূলকভাবে কম। যদিও চিনে সদ্য আবিষ্কৃত নয়া ভাইরাসের ধরন পরিবর্তিত হলে পরিস্থিতি দ্রুত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। চিনের এই নতুন ভাইরাসটিতে যে প্যাথোজেন শনাক্ত হয়েছে, তা মার্স ভাইরাস গোত্রের অন্তর্ভুক্ত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশের মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।

শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় চারজনের মৃত্যু হয়েছে, আর সক্রিয় রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫,৩৬৪। কেরলে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ দেখা গেছে, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৬০০ ছাড়িয়েছে। দিল্লিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৫৯২ জন, এবং রাজধানীতে প্রতিদিন গড়ে ১,২০০ আরটি-পিসিআর পরীক্ষা চলছে। এদিকে, গুজরাত ও পশ্চিমবঙ্গে ক্রমশ সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১০৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

২০২০ সালের অতিমারীর সময়ে চিনের একটি গবেষণাগারে এইচকেইউ-৫ ভাইরাসের পরীক্ষা চালানো হয়েছিল, যা বর্তমানে নতুন করে ছড়িয়ে পড়ছে। ওয়াশিংটন স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক মাইকেল লেটকো জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মানবদেহে অত্যন্ত সহজেই সংক্রমিত হতে পারে। বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ, এইচকেইউ-৫ ভাইরাসের প্রোটিনে সামান্যতম পরিবর্তন ঘটলেই এটি মানবশরীরের এসিই-২ কোষে দ্রুত সংক্রমিত হতে পারে, যা ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করতে পারে।