ডিজিটাল ডেস্ক ৭ জুনঃ ইসলামিক ক্যালেন্ডার অনুসারে, ইদ উল আযহা ধুল হিজ্জার ১০ তারিখে, যা হিজরি ক্যালেন্ডারের শেষ মাস। ইদ উল আযহা বকরিদ বা বকরি ইদ নামেও পরিচিত। ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। তবে পাকিস্তানে ইদ পালনে জারি হল নিষেধাজ্ঞা। এর আগেও, পাকিস্তানের আহমদিয়া সম্প্রদায় কর্তৃপক্ষের চাপের মুখে পড়েছিল আহমেদিয়া সম্প্রদায়। বাড়িতেও কোরবানি এবং অন্যান্য ইসলামী আচার-অনুষ্ঠান পালন না করে সেকথাও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে, পুলিশ আহমদিয়াদের ইদের আচার-অনুষ্ঠান পালন না করার অঙ্গীকারপত্রে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করেছিল বলে জানা গেছে(Pakistan EID Ban)।
পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের দিয়ে কাগজে সই করিয়ে নিচ্ছে যে তাঁরা ইদের আচার-অনুষ্ঠান পালন করবে না। তা না মানলে দেড় লক্ষ টাকা (পাকিস্তান টাকা) পর্যন্ত জরিমানা করার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। সে দেশের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ডন-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঞ্জাব এবং সিন্ধু প্রদেশের বেশ কয়েকটি জেলায় প্রশাসন আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের সদস্যদের আটক করেছে এবং তাদের ইদ উদযাপন না করার প্রতিশ্রুতি আদায় করে কাগজে স্বাক্ষর করতে বাধ্য করা হচ্ছে। হলফনামার কিছু ফর্মে লঙ্ঘনের জন্য জরিমানার হুমকি দেওয়া ধারা রয়েছে, আবার কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বন্ডও দাবি করা হয়েছে।
পাকিস্তানের আহমেদিয়া সম্প্রদায়ের ২০ লক্ষেরও বেশি মানুষ দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিক নির্যাতনের সম্মুখীন। ১৯৭৪ সালে একটি সাংবিধানিক সংশোধনী আহমেদিদের অমুসলিম ঘোষণা করে এবং ১৯৮৪ সালের একটি অধ্যাদেশ তাঁদের ধর্মীয় রীতিনীতিকে নিষিদ্ধ হিসেবে ঘোষণা করে। যার মধ্যে রয়েছে ইসলামিক শুভেচ্ছা জানানো, মসজিদকে উপাসনালয় হিসেবে বিবেচনা করা বা কোরান পড়া।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, শুধুমাত্র ২০২৪ সালের জুন মাসে পাঞ্জাবে ইদ পালন করার অভিযোগে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে খুশাবে কট্টরপন্থী তেহরিক-ই-লাব্বাইক পাকিস্তান (টিএলপি) এর কর্মীরা প্রায় ১০০টি আহমেদি কবর নষ্ট করে দেয়। সম্প্রতি লাহোর হাইকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন পাঞ্জাবের পুলিশকে চিঠি লিখে আহমেদিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে।