Hooghly Boy Torture : মধ্যযুগীয় বর্বরতা! আম পাড়ার ‘অপরাধে’ পেরেক লাগানো লাঠির মারে ক্ষতবিক্ষত কিশোর
ডিজিটাল ডেস্ক, ৭ জুন : নৈহাটির পর কোন্নগর। আম পাড়ার ‘অপরাধে’ কিশোরকে পেরেক লাগানো লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ। পরিবারের দাবি, তার ফলে চোখে গুরুতর চোট পেয়েছে কিশোর (Hooghly Boy Torture)। বর্তমানে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে তাকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন্নগরের মাস্টার পাড়ায় তুমুল উত্তেজনা। অভিযুক্ত টোটোচালকের গ্রেফতারির দাবিতে সরব এলাকাবাসী।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোন্নগর মাস্টার পাড়ায় একটি বাড়ির আম গাছে দুই কিশোর আম পাড়তে যায়। তবে একজন পালিয়ে গেলেও, অভিযোগ রয়েছে যে অন্যজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয় এক টোটোচালক। আক্রান্ত কিশোরের মা অভিযোগ করেছেন, “আমার ছেলে আম পাড়তে গিয়েছিল, এবং সে ধরা পড়ে যায়। সেই সুযোগে ওই ব্যক্তি লাঠি দিয়ে মারধর করে। এর ফলে তার হাড় ভেঙে গেছে, চোখের নিচে মারাত্মক চোট লেগেছে, মাথার পিছনে রক্ত জমাট বেঁধেছে। আমি চাই, অপরাধীর উপযুক্ত শাস্তি হোক।”
মারধরের খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় উত্তরপাড়া থানার একটি বড় পুলিশবাহিনী। সেখান থেকে কিশোরটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয় এবং তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর সে বাড়িতে ফিরে আসে। তবে শুক্রবার থেকে কিশোরটির শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে শুরু করে। তার চোখে তীব্র ব্যথা অনুভূত হয়, কালশিটেও পড়ে যায়। যন্ত্রণায় একসময় অজ্ঞান হয়ে পড়ে সে। পরে তাকে শ্রীরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সেখান থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়, যেখানে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে। এদিকে, কোন্নগর পুরসভার পুরপ্রধান অভিযুক্ত টোটোচালকের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ নিয়ে কোন্নগর ফাঁড়ির বিরুদ্ধে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছেন নাগরিক সমাজের একাংশ।