Maheshtola News Update”আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে” দাবি শাহেনসার,পুলিশি চেষ্টায় শহরে

15

ডিজিটাল ডেস্ক ৮ জুনঃ মহেশতলাকাণ্ডে রেলপুলিসের সাহায্য নিয়ে রবীন্দ্র নগর থানা পুলিস যৌথ ভাবে শাহেনসা সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে । রবীন্দ্রনগরের নির্যাতিত নাবালকের কোনও খোঁজ এখনও মেলেনি। নারকীয় নির্যাতনের পর কোথায় গেল ওই নাবালক? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া পুলিস। ঘটনায় মুম্বই থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে মূল অভিযুক্ত কারখানার মালিক শাহেনশাকে। পুলিসের জালে ধরা পড়েছে আরও দুজন। রবিবার অর্থাৎ আজ মুম্বই থেকে কলকাতায় আনা হল তাদের(Maheshtola News Update)।

সাঁতরাগাছি স্টেশনে নেমেই শাহেনশা বলে, ‘আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে, নাবালককে পরিবারের লোকজন লুকিয়ে রেখেছে, আমি ভয়ে পালিয়ে গেছিলাম, মোবাইল চুরি করেছিল বলে তাকে আমরা শাস্তি দিয়েছিলাম।’ স্টেশন থেকে বেরোনোর সময় অপরাধ স্বীকার করল। অন্যদিকে, অভিযুক্তদের ট্রানসিট রিমান্ডে আনা হয়েছে রবীন্দ্রনগর থানায়, আজ পেশ করা হবে আদালতে। ধৃতদের একে অপরের বয়ানে বিস্তর অসঙ্গতি। যেই কারখানায় রাখা হয়েছিল তার আশপাশের সিসিটিভি খতিয়ে দেখেও নাবালকের বেরোনোর কোনও ছবি পাওয়া যায়নি। তাহলে নাবালক গেল কোথায় জানতে হন্যে তদন্তকারী আধিকারিকরা।

ঘটনাটি ঘটে কলকাতার অদূরে মহেশতলা পুরসভা এলাকায় জিন্‌সের পোশাক রং করার একটি কারখানায়। গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৪ বছরের ছেলেটিকে। জানা যায়, ছেলেটির নাম সামসাদ। ইসলামপুরের বাসিন্দা সে। মাস দেড়েক আগে কলকাতায় কাজে এসেছিল এক পরিচিতের হাত ধরে। কিন্তু মোবাইল চুরির সন্দেহে তাকে শারীরিক নিগ্রহ করা হয় বলে অভিযোগ। যেখানে দেখা যায়, একটি ছেলেকে উল্টো করে ঝোলানো রয়েছে। তার বাঁধা দুই হাতে দৃশ্যমান বিদ্যুতের তার। খানিক দূরে এক যুবক ওই তারটি বিদ্যুতের প্লাগে গুঁজছেন, কিছু ক্ষণ অন্তর আর কেঁপে কেঁপে উঠছে উল্টো করে ঝুলতে থাকা কিশোরের শরীর। পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবারই মহেশতলা কাণ্ডে দুই অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছিল। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম মোস্তাফা কামাল এবং তৌহিদ আলম। তারা ওই কারখানারই কর্মী বলে পরিচিত। বুধবারই দুজনকে আলিপুর আদালতে হাজির করানো হয়েছিল । তাদের নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আবেদন করাও হয়েছিল ।