USA Protest Update : ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ছড়াচ্ছে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে
ডিজিটাল ডেস্ক, ১১ জুন : আমেরিকার টেক্সাস প্রদেশেও মোতায়েন করা হল ন্যাশনাল গার্ড! গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সিদ্ধান্ত নিয়েছেন টেক্সাসের বিভিন্ন এলাকায় এই বাহিনী মোতায়েন করার। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসসহ একাধিক শহরে অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে, যা ধীরে ধীরে অন্যান্য প্রদেশেও ছড়িয়ে পড়ছে। চলতি সপ্তাহে দক্ষিণ টেক্সাসের কিছু এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি নির্ধারিত রয়েছে, তাই সতর্কতা হিসেবে আগেই সেখানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হচ্ছে (USA Protest Update)।
মঙ্গলবার গভীর রাতে (স্থানীয় সময় অনুযায়ী) গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেন যে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টেক্সাসের বিভিন্ন স্থানে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হবে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি ঠিক কোন বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, “শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ আইনসিদ্ধ, তবে ব্যক্তিগত বা সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি বেআইনি। এর ক্ষেত্রে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করা হতে পারে। টেক্সাসের ন্যাশনাল গার্ড স্থানীয় পুলিশকে সহায়তা করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।” এই ঘোষণা কার্যকর হলে বিক্ষোভ পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হবে, তা নিয়ে সকলের নজর রয়েছে।
সংবাদমাধ্যম ‘সিএনএন’-এর প্রতিবেদনে জানা গেছে, দক্ষিণ টেক্সাসে বুধবার ও শনিবার বেশ কয়েকটি সংগঠন আমেরিকার অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরিকল্পনা করেছে। শনিবার স্যান অ্যান্টোনিও শহরে ‘নো কিংস’ নামে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচি আয়োজনের কথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই টেক্সাসের ডালাস শহরেও অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ দেখা গেছে। এই পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে পুলিশের পাশাপাশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। গভর্নর গ্রেগ অ্যাবট আগেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে।
নিউ ইয়র্ক, শিকাগো, সিয়াটেল, ডেনভার, সান ফ্রান্সিসকো, আটলান্টা-সহ আমেরিকার একাধিক বড় শহরে অভিবাসন ও শুল্ক দফতরের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। বিশেষ করে ক্যালিফোর্নিয়ার লস অ্যাঞ্জেলেসে গত কয়েক দিন ধরে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শহরে মোতায়েন করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ড, এমনকি সাময়িকভাবে আমেরিকার নৌসেনার মেরিন বাহিনীকেও সক্রিয় করা হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিবাদের ফলে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে লস অ্যাঞ্জেলেস। কিছু এলাকায় লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে শহরের স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলিতে কারফিউ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মেয়র কারেন বাস—রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে এই নিষেধাজ্ঞা। প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সক্রিয় রয়েছে।