ডিজিটাল ডেস্ক ১২ জুনঃ বহু প্রতীক্ষিত বকেয়া পেতে চলেছে সরকারি কর্মচারীরা। ঐতিহাসিক বিষয় বললেও খুব বেশি বলা হবে না। অবশেষে ১৬ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর থেকে নবান্নের পাওয়ার করিডরের সবথেকে বেশি আলোচ্য বিষয়ই হল, কোন পদে থাকা কর্মী-আধিকারিক কত টাকা বকেয়া ডিএ পেতে চলেছেন। ‘২৫ শতাংশ তো কী হয়েছে, পাব তো’—এই আশাতেই জুন মাস শেষ হওয়ার অপেক্ষায় প্রায় ১০ লক্ষ রাজ্য সরকারি কর্মী ও পেনশন প্রাপক। কারণ, সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশ মেনে বকেয়া ডিএ’র ২৫ শতাংশ মেটানোর বিজ্ঞপ্তি জারি করতে হবে ১৫ জুন। আর ডিএ মেটানোর সময়সীমা ৩০ জুন (DA Modification News)।
এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশে ‘মডিফিকেশন’চেয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার । নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার মনে করছে, মূল মামলা যেমন চলছে, তেমনই চলবে। অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশও ফের পর্যালোচনার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে না। অর্থাৎ, রিভিউ পিটিশন দাখিল না করে সুপ্রিম কোর্টের কাছে শুধু এই নির্দেশের কিছু পরিবর্তন বা মডিফিকেশন চেয়ে আবেদন করা যেতেই পারে। সেই হিসাবেই পদক্ষেপ করা হয়েছে। কোন ভিত্তিতে, কতটা বকেয়ার উপর, নির্দিষ্ট কতদিনের বকেয়ার উপর এই ২৫ শতাংশের হিসাব হবে, এমন একাধিক প্রশ্নের উত্তর পেতেই রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে মডিফিকেশন চাইছে বলেই মনে করা হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনের কেউই মন্তব্য করতে রাজি না হলেও সূত্রের খবর, আইনজীবীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা ও আইনের চুলচেরা বিশ্লেষণের পরই সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
আইনজীবী মহলের একাংশের মত, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বা নির্দেশ, বিশেষ করে ডিএ প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আদালত চাইলে সংশোধন বা বাতিল করতেই পারে। তবে তা একাধিক বিষয়ের উপর নির্ভর করছে। একই সঙ্গে তাঁরা এও জানাচ্ছেন, অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ বা নির্দেশ সাধারণত অস্থায়ী এবং মূল মামলাটি বিচারাধীন থাকাকালীন একটি তাৎক্ষণিক বিষয় বা চাহিদা পূরণের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ নিয়ে কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে বলেই মনে করছে নবান্ন। তবে যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট গ্রীষ্মাবকাশের পর জুলাই মাসে খুলবে আদালত, তাই যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তা পালন করা হবে বলে খবর সরকার সুত্রে। ছুটি শেষ হলে সুপ্রিম কোর্ট পরবর্তী কি নির্দেশ দেয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে রাজ্য সরকার।