Donald Trump On Israel-Iran Clash : ইজরায়েলি হামলার কথা আগেই জানতেন ট্রাম্প?

11

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৩ জুন : ইজরায়েলের পরিকল্পিত ইরান হামলার বিষয়ে আগেভাগেই জানতেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প—এমনটাই জানালেন তিনি শুক্রবার সকালে হামলার পর (Donald Trump On Israel-Iran Clash)। তবে মার্কিন বিদেশসচিব মার্কো রুবিও স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে, এই হামলার পিছনে আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। যদিও হামলার আগের দিন পর্যন্ত একাধিক মার্কিন সামরিক ও কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বকে সরিয়ে নিয়েছে আমেরিকা, যা নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।

ইরান পরমাণু বোমার সক্ষমতা অর্জনের পথে রয়েছে—এই আশঙ্কায় শুক্রবার সকালে “অপারেশন রাইজিং লায়ন” শুরু করে তেল আভিভ। ইরানের সামরিক ঘাঁটি ও পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়। এতে ইরান সেনার চিফ অফ স্টাফ মহম্মদ বাঘেরি, রেভোলিউশনারি গার্ডসের কমান্ডার হোসেন সালামি এবং ইরানের এমার্জেন্সি কমান্ডের প্রধান নিহত হন। এছাড়া, ইরানের প্রাক্তন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা আলি শামখানি এবং অন্তত ছয়জন পারমাণবিক গবেষকও প্রাণ হারিয়েছেন। ইরান জানিয়েছে যে এই হামলায় বহু সেনাকর্মী ও আধিকারিকের মৃত্যু হয়েছে।

হামলার খবর প্রকাশ্যে আসার পর ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানান, ইজরায়েল যে হামলা চালাতে পারে, তা তিনি আগেই জানতেন। তাঁর বক্তব্য, “ইরানের হাতে পরমাণু বোমা থাকা উচিত নয়। আশা করি, তারা ফের আলোচনার টেবিলে ফিরবে। তবে সেই আলোচনায় বসার জন্য কয়েকজন নেতা আর থাকবেন না।” সূত্রের খবর অনুযায়ী, হামলার বিষয়টি আগেভাগেই জানানোর জন্য ওয়াশিংটন মধ্যপ্রাচ্যের এক বিশ্বস্ত ‘বন্ধু’র সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। এছাড়া, ইজরায়েলের তরফ থেকেও আমেরিকাকে হামলার ব্যাপারে আগাম জানানো হয়েছিল।

ইজরায়েলের হামলার বিষয়ে মার্কো রুবিও স্পষ্টভাবে জানান যে, তেল আভিভ একপাক্ষিকভাবে এই পদক্ষেপ নিয়েছে এবং এটি আত্মরক্ষার জন্যই করা হয়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, এই ঘটনায় আমেরিকার কোনও ভূমিকা নেই। তবে ইরানকে সতর্কবার্তা দিয়ে রুবিও জানান, তেহরান যেন মার্কিন নাগরিক বা মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে পাল্টা হামলার পরিকল্পনা না করে। উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরে ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে মার্কিন কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া হচ্ছিল।