ডিজিটাল ডেস্ক ১৪জুনঃ এসেছিলেন দলের ২১ জুলাইয়ের প্রস্ততি কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে। তবে কে জানতো যে,সেখানেই চমক অপেক্ষা করে আছে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের জন্য। কাজল আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন এই বৈঠকে। দুপুর ১২.৫৫ নাগাদ অনুব্রত সেখানে আসতেই তাঁদেরকে নিয়ে মূল বৈঠকস্থল ছেড়ে ভবানীপুরে দলের রাজ্য সভাপতি সূব্রত বক্সীর অফিসে পৌঁছল দলের বীরভূমের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ফিরহাদ হাকিম । তারপর বীরভূমের দুই নেতাকে নিয়ে শুরু হয় রুদ্ধদ্বার বৈঠক। ওই বৈঠকে বক্সী এবং ফিরহাদের পাশাপাশি ছিলেন আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও অরূপ বিশ্বাসও(Kajol-Anubrata In Meeting)।
জেলা রাজনীতিতে অনুব্রত এবং কাজলের রেষারেষি সর্বজনবিদিত। স্বভাবতই তাঁদেরকে নিয়ে বক্সী-ফিরহাদদের এই বৈঠক আলাদা করে কৌতূহল তৈরি করেছে দলের অন্যান্য নেতা, কর্মীদের মধ্যে। বছর ঘুরলেই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে রাশ টানতে ফিরহাদের এই বৈঠক বলে দলের একাংশের অভিমত।
সুত্রের খবর, বক্সী-ববি হাকিমরা কেষ্ট-কাজলের উদ্দেশে বলেছেন, সামনে ভোট একসঙ্গে মিলে মিশে কাজ করতে হবে। প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মন্তব্য করা যাবে না। ক্ষোভ বিক্ষোভ থাকলে আমাদের বলুন। কিন্তু প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে মুখ খোলা যাবে না। সূত্রের খবর, এদিন বৈঠকে অনুব্রত মন্ডলকে মাথা ঠান্ডা রাখার কথা বলেছেন বক্সী -ববিরা
সম্প্রতি বীরভূমের আইসিকে গালিগালাজ, হুমকি এবং তাঁর মা ও স্ত্রীর উদ্দেশে কদর্য ভাষা ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছিল কেষ্টর বিরুদ্ধে। সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল সেই অডিও ঘিরে অস্বস্তিতে পড়ে দলও। দলের নির্দেশে ক্ষমা চেয়ে বিবৃতিও দেন কেষ্ট। তবে ওই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে মামলা রয়েছে। ভাইরাল অডিওয় অনুব্রতর ভাষা নিয়ে সমাজেও নিন্দার ঝড় ওঠে। এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে এদিনের বৈঠক থেকে তাঁকে মাথা ঠান্ডা রাখার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।