Khidirpur Market Fire:মধ্যরাতে খিদিরপুরে ভস্মীভূত ১৩০০ দোকান ,স্থানীয় অভিযোগ দমকলের দিকে

11

ডিজিটাল ডেস্ক ১৬জুনঃ ফের অগ্নিকাণ্ড কলকাতায়। রবিবার রাত ২টো নাগাদ খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে আগুন লাগে। পুড়ে ছাই হয়ে যায় ১৩০০ দোকান। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। সোমবার ভোরেই ঘটনাস্থলে যান কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। উপস্থিত হন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুও। দমকলমন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। হতাহতেরও কোনও খবর নেই। সূত্রের খবর দোকানগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ছিল দাহ্য বস্তুতে পরিপূর্ণ । জানা গেছে ঘি ,মাখন,ও অন্যান্য বিভিন্ন দাহ্যময় জিনিসগুলিতে ঠাসা ছিল এই অঞ্চলের গুদামগুলিতে (Khidirpur Market Fire)।

রবিবার রাত। ঘড়ির কাঁটায় রাত ২ টো হবে। খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেটে আগুন লেগে যায়। সেখানে রয়েছে তেল এবং মাখনের গুদাম। তার ফলে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একের পর এক দোকান এবং গুদামে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় দমকলে। কিন্তু প্রায় একঘণ্টা দেরিতে দমকল আসে বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। ততক্ষণে গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, তাতেও টনক নড়েনি দমকলের। স্থানীয় ওয়াটগঞ্জ থানায় কেউ ফোন ধরেনি বলেও অভিযোগ। ব্যবসায়ীদের দাবি, এরপর ১০০ নম্বরে ডায়াল করেন তাঁরা। তার প্রায় ঘণ্টাদেড়েক পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের ২০টি ইঞ্জিন। ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ, দমকলের কাছে প্রয়োজনীয় জল ছিল না। আরও স্থানীয় সূত্রানুযায়ি অভিযোগ উঠে আসে যে দমকলের কাছে নাকি পাম্পে তেল ছিল না প্রথমে। তাঁরপর তারা তেল আনতে ছোটে। পরে গঙ্গা থেকে জলের ব্যবস্থা করে বেশ কিছুক্ষণ পর আগুন নেভানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। সোমবার সকালেও একাধিক জায়গায় পকেট ফায়ার রয়ে গিয়েছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। তাঁকে দেখেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ব্যাবসায়ীরা। দমকলমন্ত্রীকে ঘিরে শুরু হয় বিক্ষোভ। সুজিত বসু জানান, ফায়ার পকেট চিহ্নিত করে আগুন নেভানোর কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন যেহেতু ঐ এলাকার গলি গুলি সরু এবং গিঞ্জি। সেই কারনে দমকলের গারি ঢুকতে দেরি হয়। এই ঘটনার সম্পূর্ণ তদন্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন সুজিত বসু।

স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি, খিদিরপুর বাজারে ১৩০০ দোকান রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০০ দোকান়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। তবে দমকলকর্মীরা জানিয়েছেন, বিক্ষিপ্ত কিছু ফায়ার পকেট ছাড়া মোটের ওপর আগুন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। কুলিং ডাউনও শুরু হয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের দাবি, অগ্নিকাণ্ডে কয়েক লাখ টাকার জিনিসপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আরও অভিযোগ যে এই ঘটনার পিছনে কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। তাঁদের এও অভিযোগ করেন যে ‘প্রশাসনের ফেইলইওর তত্ব’।

প্রসঙ্গত, এপ্রিলে বড়বাজারে ফলপট্টির একটি হোটেলেও আগুন লেগেছিল। দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৪ জনের। অনেকেই প্রাণ বাঁচাতে ছাদে উঠে গিয়েছিলেন। তাঁদের উদ্ধার করেছিল দমকল। সেই ঘটনার রেশ কাটার আগেই ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল কলকাতায়।