Suvendu Adhikari On Khidirpur Fire : খিদিরপুর অগ্নিকাণ্ডের জের, মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

10

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৭ জুন : খিদিরপুরে আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে, এমনই দাবি করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari On Khidirpur Fire)। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি মন্তব্য করেন, “এটি সম্পূর্ণ মানবসৃষ্ট!” এছাড়া, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেননি, বিশেষত গরিব ব্যবসায়ীদের জন্য নয়।” তাঁর এই মন্তব্য রাজনৈতিক মহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

গত রবিবার গভীর রাতে খিদিরপুর বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যাতে বহু দোকান সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়। মঙ্গলবার সকাল পর্যন্তও কিছু অংশে আগুন জ্বলছিল। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশ্বাস দেন যে ব্যবসায়ীদের জন্য দ্রুত অস্থায়ী মার্কেট গড়ে দেওয়া হবে। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সহায়তা হিসাবে, পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাওয়া দোকানের মালিকদের ১ লক্ষ টাকা এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি। তবে ব্যবসায়ী মহলের একাংশ এই সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট নয়, তাঁদের দাবি আরও বড় পুনর্বাসনের প্রয়োজন। পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা চলছে, প্রশাসনের তরফ থেকে দ্রুত পুনর্গঠনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ডস্থলে যান বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেন, “এই আগুন পরিকল্পিতভাবে লাগানো হয়েছে, এটি মানবসৃষ্ট।” বিরোধী দলনেতা আরও অভিযোগ করেন যে, “মুখ্যমন্ত্রী নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর স্বার্থে কাজ করছেন, তিনি সকলের মুখ্যমন্ত্রী নন। রাজ্য সরকার নিষ্ক্রিয়, ফলে মানুষের আস্থা কমে গেছে। গোটা প্রশাসনিক ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে।”

বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী খিদিরপুরের অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, “ঘটনাস্থলে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন দোকানের জন্য জায়গা নির্ধারিত আছে, অর্থাৎ গোটা এলাকা কার্যত বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “তৃণমূল মানে এখন মা-মাটি-মানুষ নয়, বরং টাকা-মারা-কোম্পানি।” শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, বিষয়টি বিধানসভায় উত্থাপন করবেন, এবং সাধারণ জনগণকে রাজনৈতিক বিভাজন ভুলে একজোট হয়ে এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ এখনও নিশ্চিত নয়, তবে দমকলকর্মীদের প্রাথমিক অনুমান অনুযায়ী শর্ট সার্কিট বা দাহ্য বস্তু থেকেই আগুন ছড়াতে পারে। পাশাপাশি, সিলিন্ডার লিক করে আগুন লাগার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। প্রশাসন ও দমকল বিভাগ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং আগুন লাগার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।