ডিজিটাল ডেস্ক ২০জুনঃ এসএসসিতে নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে চাকরি হারানো গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি প্রার্থীদের যে ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার,তাতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন আপাতত আগামী ২৬শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে। এই চার সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দিতে হবে রাজ্যকে। ততদিন শিক্ষাকর্মীরা কোনও ভাতা পাবেন না (Kunal-Samim Conflict)।
ফিরদৌস শামিম
এ ব্যাপারে আইনজীবী ফিরদৌস শামিম জানিয়েছেন,”রাজ্য সরকার যে ঘোষণা করেছিল গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি শিক্ষাকর্মীদের যথাক্রমে ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার করে ভাতা দেবেন,এটা বেআইনি, কারণ যে নিয়োগ হয়েছিল বিভিন্ন স্কুলগুলোতে,সেগুলোতে পর্বত প্রমাণ দুর্নীতি হয়েছিল বলেই সেটি সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করেছিল। বাতিল করার পর ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট এডুকেশন বোর্ড চেয়েছিল, অন্ততপক্ষে কিছুদিনের জন্য শিক্ষাকর্মীরা স্কুলে যান। কিন্তু সেক্ষেত্রেও শীর্ষ আদালত জানায় যে না তার কারণ এই গ্রুপ সি ও ডি নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরিতে ঢুকলেন, তাঁদের থেকে টাকা ফেরত নেওয়ার কথা বলা হয়েছে,সেই টাকা ফেরত নেওয়ার বদলে মাসে মাসে তাঁদেরই ভাতা দেবে? এটা একেবারেই হয় না বলেই সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।”
কুণাল ঘোষ
হাই কোর্টের নির্দেশের পরই ক্ষোভে ফুঁসে উঠলেন কুণাল ঘোষ। বললেন,“মানবিক মুখ্যমন্ত্রী যারা চাকরিহারা তাঁদের সংসার চালাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু সেই ঘোষণার বিরুদ্ধে কারা আদালতে গেলেন? এদের চিনে রাখুন। আদালত নিয়ে তো কিছু বলতে পারব না। আদালতকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু আপনাদের বলব, বন্ধু তোমার পথের সাথীকে চিনে রাখো। কে পাশে থাকে,আর কারা চাকরি খাব,ভাতা পেতে দেব না,লোকের চোখের জল ফেলে বিরোধী রাজনীতি করব বলে তৈরি হয়ে বসে আছে। এদের চিনে রাখুন।”
তিনি আরও বলেন এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে সরকারি আধিকারিক থেকে শুরু করে মন্ত্রিসভার সদস্যরাও যুক্ত রয়েছেন। টাকা আদায়ের বদলে এরাই ভাতা দেওয়ার কথা বলেছেন। এটা হয় না। যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরাও জানিয়েছেন, কেন সাদা খাতা জমা দেওয়ার পরেও ভাতা দেওয়া হবে অযোগ্যদের! তেমন হলে সকলকে ভাতা দিক রাজ্য। এহেন সওয়াল-জবাবের পরই রাজ্যের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তের উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে শাসক দলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের চাঁচাছোলা বক্তব্যে ভাতা খারিজ মামলায় এই মুহূর্তে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি।