ডিজিটাল ডেস্ক ৫জুনঃদেশে বারবার ফির পদপিষ্টের ঘটনা। তীর্থযাত্রীদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার একাধিকবার সাক্ষী হয়েছে ভারত। আইপিএল জয়ের আনন্দ বদলে গিয়েছে মৃত্যুর বিষাদে। বেঙ্গালুরু বিজয়োল্লাসে মৃতদের আর্থিক সাহায্য ঘোষণা কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার। মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। তদন্তেরও নির্দেশ দেন। এদিকে, এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতি জারি করেছে আরসিবি। সোশাল মিডিয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন বিরাট কোহলি ও শচীন তেন্ডুলকর(RCB Stampade)।
RCB-র আইপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সেলিব্রেশন চলাকালীন হুড়হুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুমিছিল। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সংবাদ সংবাদ সংস্থা ANI কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শিবকুমার বলেছেন, ‘এটা হওয়া উচিত ছিল না। আমরা আশা করিনি, যে এত বিশাল জন সমাবেশ হবে। না পুলিশ, না আমরা, কেউ ভাবিনি এমনটা হবে। এই স্টেডিয়ামের ক্যাপাসিটি হল ৩৫ হাজার। কিন্তু ৩ লক্ষের বেশি দর্শক উপস্থিত ছিল। এটা অবিশ্বাস্য। স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনার জন্য আমরা ক্ষমা চাইছি। আমরা এর আসল কারণটা জানতে চাই। এবং একটা স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই।’
পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার প্রায় ৬ ঘণ্টা পর সোশাল মিডিয়ায় বিবৃতি জারি করে আরসিবি। জানানো হয়েছে, “বেঙ্গালুরুতে এদিন দলের ফেরার সময় বিশাল জনসমাগম হয়। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত নানা তথ্য অনুযায়ী জানতে পারি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। আমরা মর্মাহত। সকলের নিরাপত্তা এবং সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রাণহানির ঘটনায় শোকস্তব্ধ। স্বজনহারা পরিবারকে সমবেদনা জানাই।” এই বিবৃতিই ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন বিরাট কোহলি। লেখেন, “অত্যন্ত হৃদয় বিদারক। ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।”
বাইরে যখন সমর্থকদের মৃত্যুমিছিল,স্টেডিয়ামের ভিতরে তখন বিজয় উল্লাস! বাইরে চরম বিশৃঙ্খলা। কেউ মৃত। কেউ মৃত্যু মুখে। দিকে আতঙ্ক-আর্তনাদ। আর ভিতরে তখন জয়োল্লাস-জয়োছ্বাস…সেলিব্রেশন বেঙ্গালুরুতে ভয়ঙ্কর বিপর্যয়। রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর প্রথমবার IPL চ্য়াম্পিয়ন হওয়ার বিজয় উল্লাস ঢাকা পড়ে গেল আর্তনাদে। স্টেডিয়ামে ঢুকতে সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কিতে প্রাণ গেল অন্তত ১১ জনের।আহত হলেন বহু সমর্থক।
IPL জয়ের পর বুধবার বেঙ্গালুরুতে ফেরে টিম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। বিজয়ী টিমকে এক ঝলক দেখতে সকাল থেকেই ভিড় বাড়তে শুরু করে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে বাইরে। কর্ণাটক বিধানসভায় সম্বর্ধনা অনুষ্ঠান চলার সময়ই স্টেডিয়ামের বাইরে বিরাট-সমর্থকদের ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। যদিও তারপরও অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, লিঙ্গরাজাপুরম এলাকার বাসিন্দা ইনায়াথ বলেন, ‘বন্যার সময় জলের স্রোত যেমন হুহু করে ঢোকে, ঠিক তেমনই স্টেডিয়ামের ৩ নম্বর গেট দিয়ে লোক ঢুকতে গেল। অনেকেই হুমড়ি খেয়ে মাটিতে পড়ে গেল। আর, তাদের মাড়িয়ে লোক স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢুকতেশুরু করল। কোনও পুলিশ ছিল না ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার।’