Corona Train Guidelines : করোনা আবহে ট্রেনে সংক্রমণের আশঙ্কা! যাত্রীদের মাস্ক পরার পরামর্শ রেলের

9

ডিজিটাল ডেস্ক, ৮ জুন : দেশজুড়ে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, যা ইতিমধ্যেই পাঁচ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে। সংক্রমণের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন, সংক্রমণ রোধে অতীতের মতো করোনা বিধি মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। এই পরিস্থিতিতে রেলের বিভিন্ন ডিভিশনও যাত্রীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছে (Corona Train Guidelines)।

রেলযাত্রীদের জন্য বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। তারা পরামর্শ দিচ্ছেন, ট্রেন ভ্রমণের সময় অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। পাশাপাশি, হাত ধোয়া এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের গুরুত্বও পুনরায় মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সংক্রমণের ঝুঁকি কমানো যায়।

রেল কর্তৃপক্ষ সামাজিক মাধ্যমে সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে। সেখানে বলা হয়েছে, “আপনি কি ট্রেনে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন? তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরুন, এতে আপনার যাত্রা আরও সুরক্ষিত হবে।” পাশাপাশি, এই সতর্কবার্তা দেখে আতঙ্কিত হওয়ার প্রয়োজন নেই বলেও জানানো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তদের অধিকাংশর ক্ষেত্রে সংক্রমণ গুরুতর নয়। তবে নিরাপত্তার স্বার্থেই সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

রেলের এক কর্মকর্তা জানান, দেশের সবচেয়ে বড় পরিবহণ ব্যবস্থা হলো রেল, যেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ বিভিন্ন ডিভিশনের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। এই বিশাল যাত্রা ব্যবস্থার কারণে ট্রেনের মাধ্যমে সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই সময় থাকতেই প্রয়োজনীয় সতর্কতার জন্য এই পরামর্শমূলক প্রচার অভিযান শুরু করা হয়েছে। পাশাপাশি, স্বাস্থ্য মন্ত্রকও দেশবাসীকে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

কলকাতার বিশিষ্ট চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস জানিয়েছেন, “করোনা আমাদের সঙ্গেই থাকবে, তাই সংক্রমণ প্রতিরোধ করাই প্রধান লক্ষ্য। সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলা, মাস্ক পরা এবং সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।” সংক্রমণ ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার সব হাসপাতালকে সতর্ক করেছে। চিকিৎসার প্রয়োজনে সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, পাশাপাশি মক ড্রিল চালানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভিড় এলাকাগুলিতে অবশ্যই মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের জুনে প্রকাশিত ‘রিভাইজড এবিসি গাইডলাইন ৩’ অনুযায়ী, করোনা (Covid-19) বা ইনফ্লুয়েঞ্জার উপসর্গযুক্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে। গাইডলাইনে বলা হয়েছে, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, ঝিমানো ভাব, নিম্ন রক্তচাপ, রক্ত কাশি ইত্যাদি লক্ষণকে ‘রেড ফ্ল্যাগ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। একইভাবে, শিশুদের ক্ষেত্রে জ্বর, খেতে অনীহা এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গগুলিও বিশেষ সতর্কতার ইঙ্গিত বহন করে।

নতুন সংক্রমণের পেছনে বেশ কয়েকটি ভ্যারিয়েন্ট দায়ী, যার মধ্যে LF.7, XFG, JN.1 এবং NB.1.8.1 উল্লেখযোগ্য। এসব ভ্যারিয়েন্টের কারণে রোগের উপসর্গ সাধারণ সর্দি-জ্বরের মতো হওয়ায় শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়ছে। তাই সংক্রমণ প্রতিরোধে সতর্কতা মেনে চলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।