TMC District Leadership Changes : তৃণমূলের জেলা সংগঠনে ফের রদবদল

29

ডিজিটাল ডেস্ক, ৯ জুন : তৃণমূলের জেলা সংগঠনে আবারও রদবদল। বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন ও সভাপতির নাম ঘোষণা করা হয়েছে (TMC District Leadership Changes)। এছাড়া রাজ্য মাদার কমিটির নতুন সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নামও প্রকাশিত হয়েছে। দলবদল করেই তৃণমূলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা শংকর মালাকার।

তৃণমূলের নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন সব্যসাচী দত্ত। জেলা সভাপতি পদে বহাল থাকছেন সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার। অন্যদিকে, রাজ্য মাদার কমিটির নতুন সহ-সভাপতি হয়েছেন শংকর মালাকার। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে নিযুক্ত হয়েছেন ফুরফুরার পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই নিয়োগগুলি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। শংকর মালাকার সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, যা উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে।

গত ১৬ মে তৃণমূলে সাংগঠনিক রদবদল হয়েছিল, যেখানে জেলা সভাপতি ও জেলা চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়।
তবে, সেই তালিকায় বারাসত ও দার্জিলিং সমতল সাংগঠনিক জেলার সভাপতিদের নাম ছিল না।
আজ, সোমবার প্রকাশিত তৃণমূলের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী—

  • বারাসত সাংগঠনিক জেলার চেয়ারপার্সন হয়েছেন সব্যসাচী দত্ত, যিনি এর আগে হাবড়ার তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
  • জেলা সভাপতি পদে বহাল থাকছেন সাংসদ ডা. কাকলি ঘোষ দস্তিদার।
  • রাজ্য সংগঠনে নতুন সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন শংকর মালাকার।
  • রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ফুরফুরার পীরজাদা কাসেম সিদ্দিকি।
    রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই নিয়োগগুলি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
    বিশেষ করে, শংকর মালাকার সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন, যা উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক সমীকরণে গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এনেছে.

গত সপ্তাহেই উত্তরের দাপুটে কংগ্রেসি নেতা শংকর মালাকার মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনার উপর ভরসা রেখে তৃণমূলে যোগ দেন। প্রাথমিকভাবে মনে করা হয়েছিল, তিনি দার্জিলিং তৃণমূলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব পাবেন। কিন্তু তা হয়নি—বরং রাজ্য সংগঠনে সহ-সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন। অন্যদিকে, রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন নওসাদ সিদ্দিকির তুতো ভাই কাসেম সিদ্দিকি। ইফতারের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে তাঁর উপস্থিতি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জল্পনা বাড়ছিল। এবার ফুরফুরা শরিফের পীরজাদাকে দলীয় পদ দিয়ে সেই জল্পনায় সিলমোহর দিল তৃণমূল।