ডিজিটাল ডেস্ক ১৬জুনঃ অনশন পেরিয়েছে ৭৮ ঘণ্টা। ১৩ জুন রাত ১টা থেকে ১০ জন চাকরিহারা আমরণ অনশনে বসেছেন চাকরিহারা যোগ্য শিক্ষকরা । অনশনের মাঝেই ৬ জন অনশনকারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তবু তাঁদের এক চুলও টলানো যাচ্ছে না। মুখ্যমন্ত্রী যতক্ষণ না দেখা করছেন ও সুপ্রিম কোর্টের রায় পুর্ণবিবেচনা করা হচ্ছে ততক্ষণ তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন বলে ঠিক করেছেন। চাকরিহারা দশ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা যাঁরা অনশনকরীদের মধ্যে ছিলেন, তাঁরা হলেন চিন্ময় মণ্ডল, কৌশিক সরকার, কিশোর কুমার রায়, অচিন্ত্যকুমার দাস,অর্নিবাণ সাহা, মিতা সরকার,মানিক মজুমদার, বিকাশ রায়, বলরাম বিশ্বাস, সুকুমার সোরেন (Again Teacher sickness)।
ঘটনা হল, রোববার থেকেই একের পর এক অনশনকারীর গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। যাঁদের মধ্যে ছিলেন চাকরিহারা শিক্ষকদের আন্দোলনের অন্যতম মুখ চিন্ময়। তাঁকে তড়িঘড়ি এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকাল সকাল আরও দুজনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। একজন অনশনকারী অনির্বাণ সাহা। তাঁকে আরজি কর মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। একজন মহিলা অনশনকারী, মিতা সরকার, তাঁকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে।
অবিলম্বে যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ-সহ পাঁচ দফা দাবিতে বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিকাশ ভবনের বিপরীতে যোগ্য শিক্ষকদের তৈরি মঞ্চে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ১০ জন চাকরিহারা ‘যোগ্য’ শিক্ষক ।শনিবার রাতে অনশন মঞ্চে আসেন মেডিকেল সার্ভিস সেন্টারের চিকিৎসকরা। তাঁরা অনশনরত শিক্ষকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার পাশাপাশি অনশন প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের অনুরোধও করেন। যদিও অনশনরত চাকরিহারা শিক্ষকরা নিজেদের দাবিতে অনড়। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে হকের চাকরি কেড়ে নিতে দেব না। অবিলম্বে যোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করতে হবে। সরকার যতক্ষণ না স্কুলে ফেরানোর ব্যবস্থা করবে ততক্ষণ এভাবেই তাঁরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাবেন বলেও জানিয়ে দেন।