Donald Trump On Iran Israel Conflict : জি-৭ ছেড়ে আজই আমেরিকা ফিরছেন ট্রাম্প, তেহরান খালির বার্তা

13

ডিজিটাল ডেস্ক, ১৭ জুন : ইরানে বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে—এই আশঙ্কা আরও উসকে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান খালি করার বার্তা দিয়েছেন (Donald Trump On Iran Israel Conflict)। ইরানের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নেতানিয়াহু, যার মধ্যেই ট্রাম্প স্থানীয়দের শহর ছাড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন যে, ইরানের উচিত ছিল নতুন পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা। ট্রাম্পের এই বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল ‘ট্রুথ’-এ একটি পোস্টে ইরানকে আসন্ন পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন। তিনি লেখেন, “ইরানের উচিত ছিল নতুন পরমাণু চুক্তিতে স্বাক্ষর করা। আমি তাদের চুক্তিতে সই করতে বলেছিলাম। সেটি করলে এই লজ্জাজনক ঘটনা ও সাধারণ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা ঘটত না। ইরান কোনওভাবেই পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী হতে পারবে না। আমি এটি বারবার বলেছি।” এরপর, ইরানবাসীর উদ্দেশ্যে বার্তা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, “সবাই জরুরি ভিত্তিতে তেহরান খালি করে দিন।” তার এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

জি-৭ বৈঠকের জন্য বর্তমানে কানাডায় অবস্থান করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তবে বড়সড় কোনো ঘটনা ঘটার আশঙ্কায় তিনি মাঝপথেই বৈঠক ছেড়ে ওয়াশিংটনে ফিরে আসছেন। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মঙ্গলবার রাতেই তিনি দেশে ফিরবেন। এদিন হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “মার্কিন প্রেসিডেন্ট জি-৭ বৈঠকে অংশ নিয়েছেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি করেছেন। এই সফর থেকে আমেরিকা বহু অর্জন করেছে। তবে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে তিনি আজ রাতেই দেশে ফিরে আসছেন।” প্রেসিডেন্টের আকস্মিক এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

গত শুক্রবার ইজরায়েল ইরানের সামরিক ঘাঁটি এবং পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে আকাশপথে হামলা চালায়। এই হামলায় ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ৯ জন পরমাণু বিজ্ঞানী প্রাণ হারান, যা পরিকল্পিত অভিযানের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়। এই ঘটনার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের উত্তেজনা আরও বাড়ছে। ইজরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু বোমার অত্যন্ত কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়াসেই এই হামলা চালানো হয়েছে। এই ঘটনার ফলে আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।