Interim Suspension:’টাকার অঙ্ক ২৫ হাজার এবং ২০ হাজার কেন’? ‘ভাতায়’,অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বিচারপতি সিনহার
ডিজিটাল ডেস্ক ২০জুনঃ চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি অমৃতা সিংহ জানিয়েছেন, ২৬ সেপ্টেম্বর বা আদালত পরবর্তী নির্দেশ না-দেওয়া পর্যন্ত ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য। আদালত জানিয়েছে,চার সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে হলফনামা জমা দিতে হবে। তার ১৫ দিনের মধ্যে পাল্টা হলফনামা দেবেন মামলাকারীরা (Interim Suspension)।
শুক্রবার এই মামলার রায় দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। রাজ্যের নির্দেশিকা খারিজ করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা । নির্দেশ দিলেন, ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনও ভাতা দিতে পারবে না রাজ্য। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি অমৃতা সিনহা প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাঁরা এই টাকা পাবেন তাঁদের থেকে রাজ্য প্রতিদানে কী পাবে? বিচারপতি আরও বলেন, “তাঁরা ঘরে বসে থাকবেন ,আর টাকা পাবেন? আর সুপ্রিম কোর্টে একটার পর একটা রিভিউ পিটিশন হতে থাকবে আর এরা টাকা পেতে থাকবেন?”
মামলাকারীদের আইনজীবী আদালতে জানান, চাকরিহারা গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী। সেই মামলার শুনানিতে ভাতার অঙ্ক নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বিচারপতি সিনহা। তিনি বলেন, কিসের ভিত্তিতে এই ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকার অঙ্ক নির্ধারণ করা হল?” বিচারপতি সিংহ রাজ্যের উদ্দেশে প্রশ্ন তোলেন যে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে কোনও রকম আলোচনা বা স্ক্রুটিনি ছাড়াই কেন তড়িঘড়ি এই ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? পাল্টা মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত। মামলাকারীদের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, “কে মামলা করবে, তা রাজ্য স্থির করে দিতে পারে না।”
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে গেছিল। পরে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আবেদন মেনে ‘যোগ্য’ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত চাকরি করার অনুমতি দেয় শীর্ষ আদালত। তবে গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীরা স্কুলে যোগ দিতে পারবেন না। সুপ্রিম কোর্টের এই নির্দেশের পর রাজ্য সিদ্ধান্ত নেয়, চাকরিহারা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীদের ভাতা দেওয়া হবে। চাকরিহারা গ্রুপ সি কর্মীদের মাসে ২৫ হাজার টাকা ও গ্রুপ ডি কর্মীদের মাসে ২০ হাজার টাকা ভাতা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।