ডিজিটাল ডেস্ক, ২০ জুন : পরনে রাজ্য পুলিশের উর্দি, সঙ্গে এক তরুণী—হন্তদন্ত হয়ে থানায় প্রবেশ যুবকের। যাকেই দেখছেন, দিচ্ছেন স্যালুট, পদমর্যাদা বিচার না করেই। আচরণে কৌতূহল জাগে কর্তব্যরত পুলিশদের। সন্দেহ ঘনাতেই শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ, আর তাতেই ফাঁস হয় আসল পরিচয়—তিনি আদপেই পুলিশ নন (Entally Fake Police Arrest)। ভুয়ো সেজে ঘুরছিলেন থানা চত্বরে! এরপরই এন্টালি থানার পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠায়। ঘটনার নাটকীয়তা যেন হার মানায় রুপোলি পর্দার থ্রিলারকেও।
ধৃত দীপ্তেন্দু বাগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, প্রায় তিন বছর ধরে এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে তাঁর, এবং সেই সম্পর্কেই নিজেকে রাজ্য পুলিশের কর্মী বলে পরিচয় দিতেন তিনি। প্রেমিকাকে প্রভাবিত করতে এক সময় জানান, এন্টালি থানার পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে রয়েছে তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। এই দাবি প্রমাণ করতে শুক্রবার দুপুরে ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে সরাসরি হাজির হন থানায়। সেখানে ঢুকেই যাকেই দেখছেন, তাকেই স্যালুট করতে থাকেন—পদের মর্যাদা বিচার না করেই। এখানেই শুরু হয় সন্দেহ। কারণ সাধারণত অধঃস্তন কেউ ঊর্ধ্বতনকে স্যালুট করেন, উল্টোটা নয়। পুলিশকর্মীদের সন্দেহ হওয়ামাত্র তাঁকে আটক করে শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। শেষপর্যন্ত ফাঁস হয়ে যায় তাঁর ভুয়ো পরিচয়। বর্তমানে অভিযুক্ত দীপ্তেন্দু পুলিশ হেফাজতে, চলছে জেরা।
পুলিশের দাবি, এখনও নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেননি ধৃত যুবক। তাঁর বক্তব্য, কিছুদিন আগে নিজের টাকার ব্যাগ হারিয়ে ফেলেন তিনি। তখন এন্টালি থানার এক পুলিশ আধিকারিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তাই কৃতজ্ঞতা জানাতেই ওই তরুণীকে সঙ্গে নিয়ে থানায় গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুলিশ ভুল বোঝে তাঁকে গ্রেফতার করে। একদিকে প্রেমিকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ, অন্যদিকে তাঁর অদ্ভুত ব্যাখ্যা—সব মিলিয়ে হতবাক ওই তরুণী।