Market Price: বৃষ্টিতে খানিকটা দাঁড়ি পড়লেও বাজাদরে লাগছে ছ্যাকা

70

ডিজিটাল ডেস্ক ১৩ই অগাস্টঃ বৃষ্টি সামান্য কমলেও বাজারে সেরকমভাবে কোন প্রভাব পড়েনি বাজারদরের ক্ষেত্রে। লাগাতার বৃষ্টির কারণে সব সবজির দাম উর্ধ্বমুখী এখনও । করলা, কাঁকরোল,বেগুন,বরবটিসহ অধিকাংশ সবজির কেজি প্রতি ৬০ থেকে ৮০ টাকার আশপাশে। দেশি টমেটো এখন পাওয়া যায় না বললেই চলে। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে ভোজ্য সর্ষের তেলের দাম। আমদানি করা টমেটোর দাম বেশি, প্রতি কেজি ১৪০-১৫০ টাকা। শুধুমাত্র সাধ্যের মধ্যে রয়েছে আলু পিঁয়াজ আদা রসুন যেগুলোকে স্টোর করা যায় সেই সমস্ত জিনিসগুলোর দাম বাড়েনি, বাকি পচনশীল সবজি যেগুলো রয়েছে সেগুলোর দাম সেঞ্চুরি করে গিয়েছে। বিভিন্ন খুচরো বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা লঙ্কা ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বিক্রেতারা জানান,বাজারে এখন দেশে উৎপাদিত কাঁচা লঙ্কার জোগান কিছুটা কম। এই সুযোগে সরবরাহ বেড়েছে ভারত থেকে আমদানি করা কাঁচা মরিচের। জোগান কম থাকার ফলে সবজির দাম বেড়ে যাওয়ার পিছনের একটি কারণ(Market Price)। মাস দেড়েক আগে বাজারে মিনিকেট চালের দাম বেড়েছিল। এখনো সে দামেই বাজারে মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে।

আজ কলকাতায় পেট্রলের দাম লিটার প্রতি ১০৫.৪১ টাকা, গতকালের তুলনায় পেট্রলের দাম পরিবর্তিত হয়েছে ০.০০ শতাংশ। অন্য দিকে,আজ ডিজ়েলের দাম প্রতি লিটারে ৯২.০২ টাকা। ডিজ়েলের দামের পরিবর্তন হয়েছে ০.০০ শতাংশ। পাশাপাশি এ দিন কলকাতায় ১৪.২ কিলো রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ৮৭৯ টাকা । ব্যবসায়িক গ্যাসের দাম কলকাতায় ১৯ কেজির দামে পরিবর্তন,১৮০২,৫০ টাকা।

শহর ও শহরতলির বাজারদর—————-
আলু (জ্যোতি) ২০- ২৫টাকা , (চন্দ্রমুখী)৩০থেকে ৩৫টাকা

পিঁয়াজ – ৪০ টাকা

রসুন- ৪০০-৫০০ টাকা

আদা- ২০০ টাকা

চাল – ৬০ টাকা , সর্ষেরতেল – ১৮৫.৩টাকা

পটল – ৩৯-৪৩ টাকা , মুগডাল – ১০০-১২০ টাকা , পামতেল – ১৪৭.৮৩ টাকা

মুসুরডাল – ৯০-১১০ টাকা , সয়াবিনতেল – ৯৮.৮১ টাকা

ঢেঁড়স –৪১-৪৬ টাকা , মাছ – ১৫০-২০০ টাকা , সূর্যমুখীতেল – ১২৬.৬৫ টাকা

লেবু – ৬-১০ টাকা , মাংস – ১৫০-২০০ টাকা

সজনে –১০০-১১০ টাকা , কুমড়ো – ২৬-২৯ টাকা

সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিক্রেতারা জানিয়েছেন, টানা বৃষ্টির জেরে জেলায় জেলায় সবজি চাষে কিছুটা ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও বৃষ্টির কারণে জোগান কম রয়েছে। তাই দাম বাড়ছে। সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বিশেষজ্ঞ মহল বলেন,’বর্ষার সময় চারিদিকে জল জমে গিয়ে সবজি নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও বাজারে বাজারে পর্যাপ্ত মাল আছে না। যারা আনেছে তারা তাই বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। লোকাল চাষিদের লঙ্কা শেষ হয়ে গিয়েছে। বেলডাঙার লঙ্কাও প্রায় শেষ। বাইরের রাজ্য থেকে লঙ্কা এলে দাম কমবে। মাস খানের দাম একটু বেশিই থাকতে পারে। তারপর ধীরে ধীরে কমে যাবে। তবে, মাল যদি কম আসে তাহলে ব্যবসায়ীরা কী করবে? প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে নানা মহলের ।